Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ভোটারদের কাছে টানতে প্রার্থীরা ছুটছেন দ্বারে দ্বারে

কাশিল ইউপি নির্বাচন

প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এনায়েত করিম বিজয়, বাসাইল (টাঙ্গাইল) থেকে : টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ৫নং কাশিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্যস্ত সময় পাড় করছে প্রার্থীরা। এ ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপে গত ২৮ মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সীমানা জটিলতা দেখিয়ে হাইকোর্টে রীট পিটিশন করায় প্রতীক বরাদ্দের পূর্ব মুহূর্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে নির্বাচন কমিশন এ ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করে। প্রায় ৫ মাস পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন। নতুন তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবর এ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত নাওয়া-খাওয়া ভুলে, আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে ভোটারদের কাছে টানতে ছুটছেন দ্বারে দ্বারে। ব্যানার, পোস্টার, লিফলেটে ছেয়ে গেছে গোটা ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, হোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট ও রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন স্পট। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য ১০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৬ জন প্রার্থীসহ মোট ৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত বাসাইল উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা রাজিক (নৌকা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রী কলেজের সাবেক জিএস, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ও কাশিল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ রমজান মিয়া (ধানের শীষ)। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম মাহমুদ (ঘোড়া), স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন (মোটরসাইকেল), সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (আনারস), আলাল উদ্দিন (টেলিফোন), উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার লুৎফর রহমান (চশমা), দেওয়ান শহীদুল ইসলাম তৌহিদুল (রজনীগন্ধা) ও মোঃ বারিকুল ইসলাম (টেবিল ফ্যান)। সরেজমিন নির্বাচনী মাঠ পর্যবেক্ষণকালে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হলেও দলীয় প্রভাবের চেয়ে এলাকাভিত্তিক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি রয়েছে। ভোটারদের এ ধারণা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যে এলাকায় প্রার্থীর সংখ্যা কম সে এলাকার প্রার্থীই অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকাবে। এ ইউনিয়নে বড় দুই দলের প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম মাহমুদ (ঘোড়া) ও জাকির হোসেন (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ সরগরম কওে তোলায় ভোটের লড়াইয়ে বড় দুই দলের প্রার্থীরই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ধারণা করছেন, এলাকাভিত্তিক ভোট হলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মির্জা রাজিক (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম মাহমুদ (ঘোড়া) ও জাকির হোসেন (মোটরসাইকেল) -এর সাথে ভোটের কাটাকাটিতে বাড়তি ফায়দা লুটতে পারে বিএনপি প্রার্থী। এমনটাই ভাবছেন এলাকার সাধারণ ভোটাররা। প্রার্থীদের সাথে আলাপকালে সকলেই প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দেন। তারা বলেন,  জনগণ যদি তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে সমাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ইউনিয়ন গঠনসহ এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাব। তাছাড়া সকল প্রকার সরকারী বরাদ্দের সুসম বণ্টনসহ অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের সেবায় নিজেকে আজীবন সম্পৃক্ত রাখব। সর্বোপরি ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়নে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু  হলে প্রার্থীরা নিজ নিজ বিজয় নিশ্চিত হবে বলে পৃথক পৃথক বিবৃতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিন সূত্রে জানা যায় ১০ হাজার ১৮৮ জন পুরুষ ও ১১ হাজার ৪ জন নারীসহ মোট ২১ হাজার ১৯২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোটারদের কাছে টানতে প্রার্থীরা ছুটছেন দ্বারে দ্বারে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ