Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তিন বছর অচল ফেরি : অলস বসে বেতন নিচ্ছেন কর্মচারীরা

প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সড়ক ও জনপথের দেয়া দু’টি ফেরিই অচল হয়ে পড়ে আছে। তিন বছর ধরে পড়ে থাকায় সচল ফেরি অচল হয়ে পড়েছে। ফলে কোনো কাজকর্ম ছাড়াই সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করছে ফেরির কর্মচারীরা। শৈলকুপার লাঙ্গলবাঁধ বাজারের খেয়াঘাটে ফেরি দু’টি অচল অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন গরজ নেই। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের প্রথম দিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগ উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ নাদুরিয়া খেয়াঘাটে যানবাহন পারাপারের জন্য বগুড়া ও মাদারীপুর থেকে দু’টি ফেরি নিয়ে আসে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে ফেরি চালক মোজাম্মেল হক গোপনে ফেরি চালু করে যানবাহন পারাপার করতে থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি রশিদ দিয়ে টোল আদায়ের নিয়ম থাকলেও বিনা রশিদে পারাপারকৃত যানবাহন থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করতে থাকেন মোজাম্মেল। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ জানতে পারলে ফেরি চালক মোজাম্মেল হকের নামে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে। সেই সাথে ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে কয়েক লাখ টাকা দিয়ে নির্মাণ করা ফেরি ঘাট ধ্বংস হয়ে গেছে। ফেরি চালু না হওয়ায় এলাকার যানবাহন ১শ’ কিলোমিটার ঘুরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে। এতে সময়ের অপচয় হচ্ছে। বাড়ছে চরম ভোগান্তি। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে ফেরি দু’টি পড়ে থাকার কারণে মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী এ সমস্যার সমাধান চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যপারে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিন বছর অচল ফেরি : অলস বসে বেতন নিচ্ছেন কর্মচারীরা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ