Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে বিএনপির মানববন্ধনে পুলিশি হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:৫০ পিএম

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশের হামলা, বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর ও আবু সুফিয়ানসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা এবং ৪৯ জন নিরাপরাধ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ জানুয়ারি ভোটাধিকার হরণ ও গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তির ও দলীয়ভাবে প্রতিটি দলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, বুধবারের এই শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশ অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালিয়েছে। হামলায় অনেক নেতাকর্মী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। মানববন্ধনে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দিয়ে কর্মসূচী সমাপ্ত করে চলে যাওয়ার অনেক পরে সমাবেশস্থলের বাইরের এলাকা থেকে বাড়ী ফিরার পথে নিরিহ নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সামান্য ঘটনায় ৪৯ জনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের সময় পুলিশের অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তার আচরণ ছিল মারমুখী। তারা অনেকটা ইচ্ছা করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ও গণতন্ত্র পূনঃউদ্ধার আন্দোলন বন্ধ করতে সরকার পুলিশকে দিয়ে এই দমন পীড়ন চালাচ্ছে। আমরা সরকার এবং প্রশাসনের এই ফ্যাসিবাদী আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার বিএনপিসহ বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর সভা সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। সরকারের বর্বরতা, স্বৈরাচারী আচরণ, মামলা হামলা, লুট, নৈরাজ্য অতীতের সব স্বৈরাচারী শাসকদের হার মানিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা ও কারামুক্তির দাবি ও গণতন্ত্র হত্যা দিবসের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বর্বর লাঠিচার্জ, মামলা এবং গ্রেফতারের মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে তারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও ভয় পায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান সরকার দেশব্যাপী বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে ভয়াবহ দুঃশাসনের এক জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সরকার নিজেদের কর্তৃত্ববাদী শাসন পাকাপোক্ত করতেই বিরোধী মতের নেতাকর্মী ও জনগণের ওপর হিংস্র আচরণ অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন বাহিনীকে অন্যায়ভাবে নিজেদের হীন স্বার্থে অপব্যবহার করে সরকার তাদেরকে জনগণের মুখোমুখী দাঁড় করাচ্ছে। মানুষের কল্যাণে কাজ না করে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে গভীর সঙ্কটে নিপতিত করছে। সারাদেশে বিরোধীদলের উপর নির্যাতন চালিয়ে দেশকে ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে।

নেতৃবৃন্দ এধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে পুলিশের অতর্কিত হামলা, গ্রেফতার ও মামলা দায়েরের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর, আবু সুফিয়ানসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্রগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ