মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রায় ২০ মিনিট মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাদের জন্য। অথচ, বিক্ষোভরত কৃষকরা নাকি সেকথা জানতেনই না। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী যে ওই রাস্তায় আসবেন, সেটা তাদের অজানা ছিল। পুলিশ বলার পরও নাকি কৃষকদের বিশ্বাস হয়নি যে মোদি তাদের জন্য আটকে আছেন।
বুধবার পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে যে কৃষক সংগঠনটি বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল, সেই ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন ক্রান্তিকারির নেতা সুরজিৎ সিং ফুল বলছেন, “কৃষকদের কোনও ধারণাই ছিল না যে ওই রাস্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যাবেন। আমরা জানতাম ভাতিণ্ডায় যখন বড়সড় হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই হেলিকপ্টারেই ফিরোজপুর যাবেন।” সুরজিত সিং ফুলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী যাবেন জানলে তারা রাস্তা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতেন না।
ওই কৃষক নেতার বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে কোনও কমিটি গঠন করা হয়নি। আন্দোলনে মৃত কৃষকদের পরিবারকে কোনওরকম সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরই প্রতিবাদে আমরা ১৮টি কৃষক সংগঠন শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। আমাদের কর্মসূচি ছিল ফিরোজপুরে ডেপুটি কমিশনারের অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর। কিন্তু পুলিশ আমাদের রাস্তাতেই আটকে দেয়। তাই আমরা রাস্তায় বিক্ষোভ দেখানো শুরু করি। আমরা জানতাম না যে প্রধানমন্ত্রী ওই রাস্তায় যাবেন। দুপুর দু’টো নাগাদ পুলিশ আমাদের বলে প্রধানমন্ত্রী আসছেন রাস্তা ফাঁকা করে দিন। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করিনি। ভেবেছিলাম, রাস্তা ফাঁকা করতে মিথ্যা বলছে পুলিশ। কারণ, আমরা জানতাম প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে যাবেন। তার সফরসূচি বদলে গিয়েছে সেটা আমাদের জানা ছিল না।”
ওই কৃষক সংগঠনের নেতা বলছেন, জানলে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর রাস্তা আটকে তারা বিক্ষোভ দেখাতেন না। তার নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করার পরিস্থিতি তৈরি হত না। যদিও, এই ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে নারাজ ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন ক্রান্তিকারির নেতা। তার সাফ কথা, বিক্ষোভ প্রদর্শন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা বিক্ষোভ দেখিয়ে কিছু ভুল করিনি। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।