রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা
গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়োগ পেয়েও চিকিৎসকরা বদলি হয়ে শহরে চলে যাওয়ায় আত্রাইয়ের হাসপাতাল ও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। মানুষ সরকারী স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। ১ জন গাইনি ডাক্তার দিয়ে চলছে আত্রাইয়ের হাসপাতাল। এছাড়া উপজেলায় ১২ জন ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে। সরকার গ্রামের মানুষ ও উপজেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসক নিয়োগ দেন। সরকারের উদ্দেশ্য মানুষ গ্রামে বসে সরকারি চিকিৎসাসেবা পাবেন। গত বছরগুলোতে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে উপজেলা হাসপাতালে ও ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগের পর তারা নানা আপত্তি তুলে গ্রামে চাকরি করতে যায় না। তারা উপর মহলে যোগাযোগ রক্ষা করে উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে বসতে থাকে। যেন গ্রামের মানুষ অবাধে চিকিৎসাসেবা পায় সে জন্য সরকার ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসকদের বসার জন্য রুম বরাদ্দ করে। সেখানেও তারা যান না। তাদের কেউ সদর হাসপাতাল আবার কেউ উপজেলা হাসপাতালে বসেন। পোস্টিংয়ের পর থেকে তারা শহরে বদলির জন্য তদবির শুরু করেন। আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ পায় ৫ জন ডাক্তার তাদের মধ্যে এখন একজনও সেখানে কর্মরত নাই। কেউ উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকায় গেছেন আবার কেউ উপজেলা হাসপাতালে বসছেন। আবার খাতা-কলমে চিকিৎসক থাকলেও বাস্তবে তাদের দেখা মিলে সপ্তাহে ১/২ দিন। আবার কেহ সুবিধামত স্থানে ডেপুটেশনে কাজ করছেন। আত্রাই উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার জন্য বলতে গেলে ২/৩ জন ডাক্তার আছে। প্রতিদিন প্রায় ৩শ’ রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে। আউটডোরে বলতে গেলে তেমন কোন চিকিৎসক নেই। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (সাবেক মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট) দিয়ে হাসপাতাল চলছে। একসময় আত্রাই উপজেলায় ইউনিয়ন ও উপজেলা হাসপাতাল মিলিয়ে ১৯ জন চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন। অপরদিকে হাসপাতালে ২১ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ৫ জন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নার্স বলেন পূর্বের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার নার্স সংকট থাকা সত্ত্বেও উৎকোচের বিনিময়ে কয়েকজন নার্সকে জেলা এবং বিভাগীয় শহরে যাওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ দেন। এতে করে রোগীদের সেবা-শুশ্রƒষার মান যেমন অত্যন্ত খারাপ তেমনি অ্যানিসথেসিয়া ডাক্তার না থাকার জন্য ডিএসএফ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া দক্ষ টেকনিশিয়ান না থাকায় ইসিজি মেশিনের ব্যবহার যেমন বন্ধ রয়েছে তেমন দক্ষ সনোলজিস্টের অভাবে আল্টাসনো মেশিনের যন্ত্রাংসগুলো মরিচা ধরে নষ্ট প্রায়। এছাড়া এখানে ঔষধেরও সংকট রয়েছে কেননা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল কাগজে কলমে থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের কার্যক্রম চালু রয়েছে। আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. এস এম হাসিবুল ইসলাম উপরোক্ত বিষয়গুলোর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গ্রামে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য উপজেলা হাসপাতাল ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন গত ২৬/০৯/১৬ তারিখে যোগদান করার পর থেকে বিষয়গুলো সমাধানের পথ খুঁজছি। আশা করি শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।