বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বৃটিশ আমলে ১৮৬৮ সালে তৎকালীন খুলনা মহকুমায় স্থাপন করা হয় সেই সময়ের আধুনিক একটি চিকিৎসালয়। মরাভদ্রা নদীর পাড়ের এই চিকিৎসালয়টিতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ চিকিৎসা নিতে আসতেন। বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা ছিল চিকিৎসালয়টিতে। সময়ের পরিক্রমায় একসময় এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। ১৫৪ বছরের স্মৃতি আকড়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনটি আজ নিজেই জরাজীর্ণ। প্রতিদিন ভেঙ্গে পড়ছে ইট-পলেস্তারা, জানালা, দরজাগুলো বহু আগেই খোয়া গেছে তস্করের হানায়। আগাছায় ভরে গেছে ভবনটির চারপাশ। অনেকে বলেন ভুতুরে বাড়ি। রাত হলে ভয়ে আশেপাশে যেতে চান না। কোনো রকমে ভবনটি টিকে আছে দুর্বল ইট-সুড়কির গাথুনির ওপরে। অযত্ন-অবহেলা আর সংরক্ষণের অভাবে যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে।
স্থানীয়রা মনে করেন, আগামী প্রজন্মের জন্য জেলার প্রথম চিকিৎসালয়টি সংস্কার করা জরুরি। স্থানীয় শরাফপুর ইউনিয়নের প্রায় শতবর্ষী বৃদ্ধ শেখ আইয়ুব আলী জানান, দাদার কাছে শুনেছেন, ডুমুরিয়া উপজেলার বর্তমান থানার পশ্চিম পাশে মরা ভদ্রার পাড়ের দ্বিতল এই হাসপাতালটিতে ঘোড়ার গাড়ি ও নৌকায় করে মূমুর্ষ রোগীদের আনা হত। সরকারি হাসপাতাল না হলেও ব্রিটিশ সাহেবরা চিকিৎসা দিতেন। বিনামুল্যে ওষুধ দেয়া হত দরিদ্র রোগীদের। সারাদিন অনেক রোগী আসতেন। সেই বাগেরহাট, যশোর থেকেও রোগী আসতেন। একই রকম তথ্য দিয়েছেন এলাকার আরো কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি। এবিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান রোস্তম জানান, পুরনো এ চিকিৎসালয়টি দ্রুত সংস্কার করে সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, অতীতকে ভুলে গেলে চলবে না। ডুমুরিয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এ চিকিৎসালয় ভবনটি সংরক্ষণ করা দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।