Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন বছরে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

নতুন বছরে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া, যেটিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই উৎক্ষেপণের খবর প্রথম জানায় জাপানের কোস্টগার্ড; তাদের ধারণা, এটি একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হতে পারে। পরে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। ৩১ ডিসেম্বর নতুন বছরের প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার (ডব্লিউপিকে) ৮ম কেন্দ্রীয় কমিটির ৪র্থ পূর্ণাঙ্গ বৈঠকের শেষ দিনে ও নিজের ক্ষমতারোহণের দশম বর্ষপূর্তিতে দেওয়া ভাষণে কিম জং উন অস্থিতিশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখে জাতীয় প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার ডাক দিয়েছিলেন। এটি তার প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। অক্টোবরের পর এই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল দেশটি। এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, “উত্তর কোরিয়া গত বছর থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে আসছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।” পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া নিজেদের ভূখণ্ড থেকে সাগরে সম্ভাব্য একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফও এমনটি জানিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল জরুরি বৈঠক ডেকেছে, তারা এই উৎক্ষেপণে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, “অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক স্থিতিলশীলতা যখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তখন এ পরীক্ষা চালানো হল।” উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে তারা। ২০২১ এর পুরোটা জুড়েই উত্তর কোরিয়া তাদের অস্ত্র কর্মসূচী এগিয়ে নিতে কাজ করেছে। এ সময় তারা নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ট্রেন থেকে ছুড়তে সক্ষম এমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং নতুন দীর্ঘ পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে বেশি হুমকিজনক বলে মনে করা হয়। কারণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বেশি ক্ষমতার বোমা বহন করতে পারে, এগুলোর পাল্লা দীর্ঘ আর এর গতিও বেশি। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম গত বছরের শেষ ভাষণে পারমাণবিক অস্ত্র বা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে স্কুল ইউনিফর্ম ও দেশের একটি ট্রাক্টর ফ্যাক্টরি নিয়েই বেশি কথা বলেছিলেন, এতে নতুন বছরে তার মনোযোগ দেশের জনগণের ‘খাদ্য ও জীবনমান উন্নয়নে’- এমনটি মনে করা হচ্ছিল। কিমের ভাষণে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ই প্রাধান্য পেয়েছিল। এতে দেশে কিম অথনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন এমন ধারণাই জোরদার হয়েছে। আগে থেকেই দেশটির সম্ভাব্য খাদ্য ও মানবিক সংকট নিয়ে সতর্ক করে আসছিল আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ