Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কক্সবাজার বিমানবন্দরের জেনারেটর ক্রয়ে দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি

প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : কক্সবাজার বিমান বন্দরের ৬৯ লাখ টাকার জেনারেটর ক্রয়ে দুর্নীতির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রকৌশলী কাছে বিষয়টি চানতে চেয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান ইনকিলাবকে বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছি। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তা আগামী বৈঠককে উখাপন করতে বলা হয়েছে।
চলতি বছর ফেব্রæয়ারি মাসে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ৩০০ কেভি জেনারেটর ক্রয়ের জন্য ৬৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। পরে গত ২০১৫ সালে জুনের দিকে এর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরপত্র আহŸান করা হয়। দরদাতা হিসেবে ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) ডিভিশন-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী (ইএম) মিহির চাঁদ। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে জেনারেটর ক্রয় না করে ও সরবরাহ না দিয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মিহির চাঁদ বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেন। এমনকি ওই সময় জেনারেটর ক্রয়ের বিপরীতে বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকাও ছাড় দেয়া হয়।
পরে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোঃ আলমগীর হোসেন নামের এক ঠিকাদার বিষয়টি লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এনিয়ে পুরো সিভিল এভিয়েশনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং অভিযোগ তদন্ত করে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সিভিল এভিয়েশনকে নির্দেশ দেন বিমান মন্ত্রণালয়। দুর্নীতি তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন, মোঃ মিজানুর রহমান (সদস্য অর্থ) অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি, সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন ( কমঃ ইঞ্জি) সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী (ই/এম) ইএম বিভঅগ-১ আছির উদ্দিন সদস্য সচিব।
এ দিকে অভিযোগটির সত্যতা পাওয়ার কারণে নির্বাহী প্রকৌশলী মিহির চাঁদকে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কুর্মিটোলা ঢাকা ) সহকারী পরিচালক (এমটি) হিসেবে বদলি করা হয়। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অফিস আদেশ নং-সিএএবি/প্রাঃ/১-পি(২৭),২০০৩, (অংশ-১) /৫৫১১,তাং১৫/০২/২০১্৬ইং। ১৬ ফেব্রæয়ারি অপরাহ্নের মধ্যেই কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়। ২৮ ফেব্রæয়ারি কক্সবাজার বিমানবন্দর পরির্দশনে আসেন তদন্ত কমিটি। ত্রæটিপূর্ণ ও ওয়ার্ক অর্ডার (কার্যাদেশ) বহিভর্‚ত জেনারেটর (দেশীয়) ক্রয়ের অভিযোগের সত্যতা পায় উক্ত তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
তদন্ত কমিটির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান (সদস্য অর্থ) অতিরিক্ত সচিব ইনকিলাবকে বলেন, আমরা তদন্ত করে পরবর্তীতে যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে দাখিল করেছি। কি কারণে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি তা আমার জানা নেই।
কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর জেনারেটর ক্রয়ে দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত মিহির চাঁদের ইন্ধনে উল্টো তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী পরিচালক আছির উদ্দিনের (কমঃ ইঞ্জি) বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ তুলেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে। অভিযোগ তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেয়া হয় প্রায় ৮ মাস আগে। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস ধরে তা ফাইলবন্দি হয়ে আছে। কমিটি বিষয়টি জানতে চেয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার বিমানবন্দরের জেনারেটর ক্রয়ে দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ