গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
শোকজের জবাব না দেওয়ায় ঢাকা উত্তরের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। ২ জানুয়ারি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২১ ডিসেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক অদক্ষতা, সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার কারণে সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার জন্য আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। ওই চিঠি কুরিয়ার সার্ভিস, হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেজের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল।
সাত কার্যদিবস অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো উত্তর না পাওয়ায় আপনাকে গঠনতন্ত্রের ১১(খ) ও ১২(খ) ধারায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এর আগে শোকজের চিঠিতে বলা হয়েছিল, গত ১৬ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড করেন তুহিন। সেখানে তিনি সভাপতি নাজমা আক্তারসহ অনেককে অপমান, নাজেহাল এমনকি শারীরিকভাবে আহত ও লাঞ্ছিত করেন। এসব অভিযোগের জবাব চাওয়া হয় তুহিনের কাছ থেকে। তবে সেই শোকজের জবাব দেননি তুহিন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকজের চিঠি দেখেছি। শুধু সভাপতির স্বাক্ষরিত চিঠি হওয়ায় উত্তর দিইনি। আর ব্যক্তিগত কারণে সভাপতি আমাকে এখন অব্যাহতি দিয়েছেন। আমি এই অব্যাহতি মানি না। আমি আমার সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব। তুহিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি যখন বলবেন তখনই আমি সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত হবো, তার আগে নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।