Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে পীর মশায়েখ ও আলেম ওলামাদের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য -কক্সবাজারে আল্লামা ওবায়দুর রহমান খান নদভী

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৫০ পিএম

বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, সাংবাদিক ও আলেমে দ্বীন আল্লামা ওবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে পীর মশায়েখ ও আলেম ওলামাদের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য। আলেম ওলামারা রাষ্ট্র পরিচালনায় কোন বাধা সৃষ্টি করছেনা। কিন্তু ইসলামী ইতিহাস ঐতিহ্য কুরআন হাদিস, মসজিদ মাদরাসা ও ইসলামী লেবাস পোষাকের ব্যাপার কোন ধরণের বাধা আসলে কোন আপোষ করা যাবেনা। দেশের যে কোন বাহিনী, ব্যক্তি এব্যাপারে বাধা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ থেকে ইসলাম মুছে দিতে পারবেন মনে করলে তারা তা ভুল করবেন।

তিনি (২ জানুয়ারী) শনিবার রাতে কক্সবাজার ইমাম মুসলিম ইসলামিক সেন্টারের মাহফিলে আলোচনাকালে একথা বলেন।
আল্লামা নদভী বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তুরস্কে শত বছর নির্যাতন নিষ্পেষণেও সেখানকার মুসলমানদের ইসলামী কৃষ্টি সংস্কৃতি থেকে সরানো যায়নি।
তিনি সরকার পরিচালনায় যারা আছেন তাদের প্রতি সম্মান রেখে বলেন, আপনারা দেশ পরিচালনা করেন এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে ইসলামি কৃষ্টি সংস্কৃতি ও মসজিদ মাদরাসা পর্দা হেজাব ও দাড়ি টুপি নিয়ে টানাটানি করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনবেন না।

বাদ মগরিব অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দারুল মায়ারিফ আল ইসলামিয়ার সহকারী পরিচালক আল্লামা ফুরকান উল্লাহ খলিল।
মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন,
পটিয়া আল জেমেয়া ইসলামিয়ার শাইখুল হাদিস আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকার উপ পরিচালক ড. মোস্তাক আহমদ,
আল্লামা আব্দুল বাসেত খান সিরাজী।
বিশেষ আলোচক ছিলেন, ঢাকা রামপুরার আল্লামা ইয়াহিয়া মাহমুদ, বিশেষ বক্তা ছিলেন, ঢাকার আল্লামা হাসান জামিল। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিলেন, তেজগাঁও জামেয়া রেলওয়ে ষ্টেশনের পরিচালক আল্লামা মুজিবুর রহমান ও আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার নায়েবে মুদীর আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামজা।

আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী বলেন, থার্টিফার্স্টের নামে যে বেহায়াপনা ৩১ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সহ দেশে হয়েছে তাতে মাদরাসা কোন শিক্ষার্থী বা আলেম ওলামা অংশ নেয়নি। বিজাতীয় এই সংস্কৃতি আমদানী করেছে আধুনিক শিক্ষিত নামের কিছু জ্ঞানপাপীরা। দেশের স্কুল কলেজ গুলোতে কুরআন হাদিসের শিক্ষা দেয়া হয়না বলে এই নির্লজ্জ কাজে তারা জড়িয়ে পড়ে। কোন মুসলমানের সন্তানকে এই নির্লজ্জ কাজে অংশ নেয়া হারাম।
আল্লামা আব্দুল বাসেত খান বলেন, কুরআন এবং সুন্নাহকে বাদ দিয়ে মুসলিম জাতির কোন উন্নতি ও অগ্রগতি নেই। এক সময় মুসলিম জাতি বিশ্ব শাসন করেছিল কুরআন হাদিস আকঁড়ে ধরার কারণে। আর এখন নিগৃহীত হচ্ছে কুরআন হাদিস থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে।

এতে সকাল থেকে ছিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের তেলাওয়াত, হামদ- নায়াতসহ বিভিন্ন পরিবেশনা। যোহরের আগ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তারা আলোচনা পেশ করেন আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরাম।

উল্লেখ্য পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের লিক রোড এলাকায় এককালের বনজঙ্গল এলাকায়
ইমাম মুসলিম ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশিষ্ট দায়ী আল্লামা হাফেজ ছালাহুল ইসলাম।
এখানে হয়েছে দৃষ্টি নন্দন বিশাল মসজিদ, দুই হাজার শিক্ষার্থীদের মাদরাসা, হেফজখানা ও এতিম খানা। এলাকাটি এখন একটি আলোকিত এলাকা এবং অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ