Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ক্ষমতাসীনরা সিরাজগঞ্জের সমাবেশে হামলায় জড়িত : মির্জা ফখরুল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:০২ পিএম

বিদায়ী বছরের ৩০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সিরাজগঞ্জে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হামলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা করেছে বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ছয়টি মামলা হলেও প্রকৃত অস্ত্রধারীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রবিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। হামলার ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও আটক বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩০ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে শহরে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে হামলা হয় বলে অভিযোগ করে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিপূর্ণ ওই জনসভাকে ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দুই-তিন দিন আগে থেকে রশিদী মিল্লাত মুন্নার (এমপির) বাড়ির ছাদে ও বাড়ির নিচে, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের মাঠে ও অডিটোরিয়ামের ছাদে, রেলগেটে, গো-শালায়, আলিয়া মাদরাসার ছাদে ও তৎসংলগ্ন মাঠে, বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটা, পাথর, ককটেল, পেট্রোল বোমা ও দেশীয় অস্ত্র মজুত করে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে একডালা মধ্যপাড়ার বায়েজিদ, দত্তবাড়ির সুজয়, কোল গয়লার সুমন ও জনি চারটি পিস্তলসহ প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা চালায়। পিস্তলধারীদের হামলার দৃশ্য প্রায় সব টিভি মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ছবি প্রকাশিত হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, পরাজয়ের আক্রোশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের রিকশা, ইজিবাইক, দোকানপাট ভাংচুর করে। খবর পেয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা জনতাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তীব্র সংঘর্ষ চলে দুই ঘণ্টাব্যাপী। পরে র‌্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বেলকুচি থেকে জনসভায় আসার পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চারটি বাস ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ২০ জন আহত বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে পুলিশ বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে চারটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং বিকেলেই বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ডিবি পুলিশ তল্লাশিসহ পরিবার পরিজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। অন্যদিকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ