পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবার টিকা নিশ্চিত করতে টিকাদান কর্মসূচি আরও সহজ করছে সরকার। নিবন্ধন করে টিকার এসএমএসের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন; এমন প্রত্যেকে এখন থেকে এসএমএস ছাড়াই টিকা নিতে পারবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ডা. মো. শামসুল হক গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন ৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৭ লাখ ৪৩৩ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৩৪ জনকে। এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করে টিকা পাননি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৯৯ জন। নিবন্ধনকারীদের প্রত্যেককেই এখন টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। টিকাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, নিবন্ধন করে চার-পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও টিকার এসএমএস মিলছে না। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, নিবন্ধনকারীদের সবাইকে দেয়া হয়েছে টিকার এসএমএস।
সংবাদ সম্মেলনে শামসুল হক বলেন, নিবন্ধন করে যারা দীর্ঘদিন টিকার এসএমএসের জন্য অপেক্ষা করছেন, তারা এখন এসএমএস ছাড়া টিকা নিতে পারবেন। টিকা নিতে যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদের বড় একটি অংশ টিকা পেয়েছেন। কিছু মানুষ নিবন্ধন করেও এখনও টিকার এসএমএস পাননি। নানা কারণে এমন হতে পারে। এখন তাদের এসএমএস ছাড়া টিকা দেয়া হবে।
কারণ আমাদের হিসাবে টিকার এসএমএস বকেয়া নেই। সবাইকেই এসএমএস দেয়া হয়েছে। এমন হয়েছে অনেকেই দোকান থেকে টিকার নিবন্ধন করেছেন। সেখানে যে মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। আমরা সেই মোবাইল নম্বর এসএমএস করেছি। তাই আপনাদের মাধ্যমে একটা কথা বলতে পারি; নিবন্ধন করে যদি কোনো ব্যক্তি টিকা না পান, তাহলে আমাদের এই ক্যাম্পেইনে টিকা পাবেন। এ ছাড়া রুটিন টিকাদান কেন্দ্র কার্ড নিয়ে গেলেও টিকা দেয়া হবে। যদিও নিবন্ধন করে ৬ মাসের বেশি সময়েও এসএমএস পাননি এমন শত শত উদাহরণ রয়েছে।
তিনি বলেন, এখন টিকা নিতে এসএমএস পাওয়া লাগবেই, এমন না। এটা শুধু প্রথম ডোজের জন্য। কিন্তু বুস্টার ডোজের জন্য আমরা এসএমএস দেয়া শুরু করেছি। সাত কোটি মানুষের পাঁচ কোটি এখন দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে গেছেন। আমাদের পরিকল্পনা এক কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনা। সেটা মার্চ মাসের মধ্যে। চলমাল টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন শেষে বুস্টার ডোজ টিকা কর্মসূচি কীভাবে সহজীকরণ যায়, সেটাও ভাবা হবে।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ২৩ কোটি টিকা ইতিমধ্যে দেশে আসছে বলে জানিয়েছেন ডা. মো. শামসুল হক। তিনি বলেছেন, কেনা, উপহার, কোভ্যাক্স মিলে দেশে ২৪ কোটি টিকা আসছে। এর মধ্যে পাঁচ কোম্পানির টিকা রয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ১২ কোটি টিকা প্রয়োগ করেছি। হাতে সাড়ে ১০ কোটি টিকা হাতে রয়েছে।
শামসুল হক বলেন, কাজেই টিকার কোনো সঙ্কট হবে না বলে আমরা মনে করি। আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্পন্ন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।