Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত মুমিনুলরা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

২০২১ সালের ব্যর্থতা ভুলে নতুন বছরে নতুন শুরুর প্রত্যাশায় বাংলাদেশ। নতুন বছরের প্রথম দিনেই মাঠে নামছে মুমিনুল হকরা। বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৪টায় মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামছে তারা। এই টেস্ট দিয়ে নতুন বছরে নতুন শুরুর প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
গতকাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেছেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে নতুন বছরে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আগের বছরে কী হয়েছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা না করে নতুন বছরে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সেটা চিন্তা করছি। ভালো শুরুর প্রত্যাশায় আমি আসলেই খুব রোমাঞ্চিত। শুরুটা ভালো করতে পারলে এটাকে ক্যারি করে নেওয়ার সম্ভব হবে।’
গত বছরের ব্যর্থতা কাটানোর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। সেই শুরুর পথে ক্রিকেটারদের উন্নতি চোখে পড়েছে মুমিনুলের, ‘এখন আমরা অনুশীলনে সবাই সবাইকে যেভাবে দেখছি, দল অনুযায়ী ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো খেলতে পারলে ভালো করা সম্ভব। সব মিলিয়ে আমাদের মধ্যে রোমাঞ্চ কাজ করছে।’
নিউজিল্যান্ড সফর মানেই আতঙ্ক। ওখানে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৩২ ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। পুরনো পরিসংখ্যান চোখ রাঙালেও মুমিনুল সবকিছু ইতিবাচকভাবেই দেখছেন, ‘যে কয়দিন অনুশীলন করেছি, অনুশীলনে ভালো অবস্থায় আছি। পুরনো রেকর্ড তো ঘাটাঘাটি করে, চিন্তা-ভাবনা করে কোনও লাভ হবে না। আমার মনে হয়, সামনে যে জিনিসটা আছে, সেটা নিয়ে চিন্তা করাটাই ভালো। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করাই ভালো। আমরা জানি, নিউজিল্যান্ডে আমাদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ থাকবে। কিন্তু আগে থেকেই যদি ব্যাকফুটে কিংবা নেতিবাচক চিন্তা থাকে, তাহলে ভালো করা সম্ভব হবে না। যতই চ্যালেঞ্জ থাকুক আপনাকে সেটা নিতে হবে।’
নিউজিল্যান্ডে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরও ব্যক্তিগত কিছু ইনিংস আছে। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংস ৮ উইকেটে ৫৯৫ রানে ঘোষণা করে বাংলাদেশ। উপমহাদেশের বাইরে এটি বাংলাদেশের টেস্টে সর্বোচ্চ রান। সাকিব ক্যারিয়ারসেরা ২১৭ ও মুশফিক ১৫৭ রান করেছিলেন। যদিও টেস্ট ম্যাচটি জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডে বিচ্ছিন্নভাবে ব্যক্তিগত কিছু সাফল্য থাকলেও দলীয় সাফল্য নেই। দলীয় সাফল্য পেতে দলীয় পারফরম্যান্স জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘দেশে কিংবা দেশের বাইরে আমরা যত টেস্ট ম্যাচ জিতেছিলাম, সবই কিন্তু দলীয় পারফরম্যান্সের কারণে। আমার কাছে মনে হয়, দুজন ১০০ মারলো, বোলাররা একজন ৫ উইকেট নিলো, তখন কিন্তু দলীয় ফল পাওয়া কঠিন হয়। কিন্তু একজন ২০০ করলো, একজন ১০০ করলো, সঙ্গে বোলরারা কেউ একজন ৫ উইকেট নিলো কিংবা ২০ উইকেট নেওয়ার মতো পারফরম্যান্স করলো- তখন দলীয় ফল আসবে।’
চলতি বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে অনেক ক্যাচ মিস করেছিলেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এবার উন্নতি হবে বলে মনে করেন মুমিনুল, ‘নিউজিল্যান্ডে চারদিক খুব বাতাস থাকে। ফলে মানিয়ে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ফিল্ডিং নিয়ে ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে টেকনিক্যালি কাজ করেছি। ভালো ফিল্ডিং করতে আত্মবিশ্বাসী আমরা।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ