প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কের মাত্র এক চতুর্থাংশ ইউক্রেনকে দিচ্ছে পশ্চিমারা
ব্রিটেনের সানডে টাইমস রোববার জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুর মধ্যে ইউক্রেন পশ্চিম-প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কগুলোর এক চতুর্থাংশের কম পাবে। এতে
পৃথিবীর সব দেশেই জীবনের সকল তৎপরতাকে মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এই সকল তৎপরতা সামগ্রিকভাবে নির্ণয় করে দেশগুলোর কৃষ্টি ও সভ্যতা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা এবং গবেষণা মানব জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষজ্ঞ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও একথা সত্যি যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এখনও আমাদের কৃষ্টির অঙ্গ হয়ে ওঠেনি। অথচ আমরা যদি উন্নত বিশ্বের দিকে তাকাই এবং সেখানকার বিজ্ঞানের সাথে জীবনের যোগসূত্র লক্ষ্য করি তাহলে এটা একেবারেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এখন মানুষের কৃষ্টির এক অপরিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে অতি বৃহৎ জিনিস এবং অতি ক্ষুদ্র জিনিসের উপর যে গবেষণা চালানো হয়েছে তা সকলের মনে দুটি প্রশ্নের জবাব খুঁজবার প্রয়াস পেয়েছে। প্রশ্ন দুটি হলো: (১) মহাবিশ্বের উদ্ভব ঘটল কী করে? (২) প্রাণের উদ্ভব ঘটল কী করে? এ দুটি প্রশ্ন আদি মানুষের মনেও ছিল কিন্তু তখনকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মত অবস্থায় ছিল না। হালে কণা বিজ্ঞান ও কসমোলজিতে অসাধারণ অগ্রগতির ফলে এই প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়া শুরু হয়েছে। তবে শেষ কথাটি যে বলা গেছে, তা নয়। যাহোক, এই প্রশ্নগুলো যেহেতু মানবমনের তাই এগুলো তার চিন্তা, তার বিশ্বাস, তার সংস্কৃতিরই একটা অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে ওঠেনি কেন? এ প্রশ্নের উত্তর মূলত এটাই যে, আমরা কিছু কিছু বৈজ্ঞানিক দ্রব্য ও পদ্ধতি ব্যবহার করি বটে কিন্তু বিজ্ঞান এখনও আমাদের জীবনে ভালোভাবে যুক্ত হয়নি। একথাগুলো এজন্য বলা হলো যে জীবনের সাথে বিজ্ঞানের যোগ না থাকলে, বিজ্ঞান কৃষ্টির অঙ্গ না হলে তাকে প্রকাশ করবার ভাষা হাতড়ে বেড়াতে হয়। কিন্তু বিজ্ঞান যখন জীবনেরই একটি সহজসাধ্য অনুষজ্ঞ হয় তখন ভাষা খুঁজে বেড়াতে হয় না। উদাহরণস্বরূপ প্রাচীন ভারতবর্ষে যখন কিছু কিছু প্রায়োগিক শাস্ত্রের চর্চা হত, তখন তাতে বৈদেশিক ভাষার চল বেশি ছিল না। আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রে ‘শ্লৈস্মিক ঝিল্লি’ কথা দু’টির প্রচলন ছিল। আজ যাকে আমরা সঁপঁং সবসনৎধহব বলি তার এত যুৎসই পরিভাষা তখন থেকেই চালু ছিল কারণ শাস্ত্রটির চর্চা ছিল। অন্যদিকে যখন ‘উৎক্ষেপণ’ ‘অবক্ষেপণ’ শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এগুলো প্রাচীন ভারতেই ঁঢ়ধিৎফ সড়ঃরড়হ বা ফড়হিধিৎফ সড়ঃরড়হ এর কথা বোঝাত। এখন যদিও আমরা রকেটের যুগে বাস করি তবুও প্রাচীনকালে জিনিস ঊর্ধ্বে ছোড়ার চর্চা না থাকলে এত পরিচ্ছন্ন পরিভাষা খুঁজে পাওয়া যেত না। তেমনি একজন গ্রামের কামার তার শিল্পে তাপগতির সূত্র ব্যবহার করে চলেছে। এই শিল্পকর্মে ‘অকুঞ্চন’ (পড়হঃৎধপঃরড়হ) এবং ‘প্রসারণ’ (বীঢ়ধহংরড়হ) শব্দ দুটির ব্যবহার দেখা যায়, এই শব্দগুলো আধুনিক তাপ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে খুবই প্রযোজ্য। যে বিষয়টি এতক্ষণ বুঝাতে চেয়েছি তা হলো, একটি বৈজ্ঞানিক শাস্ত্রের যখন চর্চা ও প্রয়োগ হয় তখন বৈজ্ঞানিক পরিভাষা আপনা আপনিই চলে আসে। আমাদের দেশে আমরা বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা ও গবেষণা যদি করতে চাই, তাহলে প্রথমে যা করতে হবে তাহলো বিজ্ঞান শিক্ষা, বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার মাত্রা বাড়ানো। আমাদের কৃষিতে, আমাদের চিকিৎসায়, আবহাওয়া ও পরিবেশ ইত্যাদিতে যেসব সমস্যায় আমরা ভুগছি তার সমাধান যদি আমাদের নিজস্ব বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে উদ্ভূত হত তবে আমরা নিজেরাই অনেক শব্দ সৃষ্টি করতে পারতাম। পদার্থবিদ্যায় আমরা যে ‘কোয়ার্ক’ (য়ঁধৎশ)-এর কথা শুনি তা হলো পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যাদের সমন্বয়ে অন্যান্য কণা যেমন নিউট্রন, প্রোটন ইত্যাদি গঠিত। এই কোয়ার্ক (য়ঁধৎশ) শব্দটি ১৯৬০ সালের আগে ব্যবহৃত হয়নি। যিনি কোয়ার্ক-এর ধারণার প্রবর্তন করেন তিনি এই ক্ষুদ্রতম কণাগুলোকে ‘কোয়ার্ক’ নামে অভিহিত করেন। তেমনিভাবেই ভবৎসরড়হ শব্দটি পদার্থবিদ ঊহৎরপড় ঋবৎসর-এর নামানুসারে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে গবেষণারত সত্যেন বোসের নামানুসারে ইড়ংড়হ শব্দটি প্রচলিত চালু হয়। কিছু কিছু কণাকে ভবৎসরড়হ গোত্রীয় এবং কিছু কিছু কণাকে ইড়ংড়হ গোত্রীয় বলা হয়। মি. বোস যদি নিজে গবেষণা না করতেন তাহলে ইড়ংড়হ শব্দটি চালু হত না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, বহু গবেষক যদি অনেকদিন ধরে গবেষণা করেন সেটাই হচ্ছে পরিভাষা তৈরির এক অপূর্ব সুযোগ। বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণা করতে হবে এটাই হচ্ছে আসল কথা। দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে পৃথিবীর অন্যত্র যখন দেশের এঘচ-র ১-৩ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তখন আমাদের দেশে এই একই খাতে ব্যয় হচ্ছে এঘচ-র মাত্র ০.২ শতাংশ। এই ব্যয় বাড়িয়ে যদি একটা য়ঁধহঃঁস লঁসঢ় দেওয়া হয় এবং আমাদের ছেলেমেয়েরা যদি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশে এবং প্রয়োগে তাদের মেধাকে যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারে তখনই কেবল আমরা বিজ্ঞানের এক একটি ক্ষেত্র রচনা করব এবং সেসব ক্ষেত্রের কথা বাংলায় বোঝানোর ক্ষেত্রেও উপযুক্ত ভাষার সৃষ্টি হবে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা কর্ম পশ্চিমাদের মত দক্ষভাবে আয়ত্ত না করব ততদিন পর্যন্ত কি আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব? বাংলা ভাষার প্রয়োগ ঘটাব না? স্বভাবতই এখানে পরিভাষার প্রশ্নটি এসে পড়ে এবং অনেকেই মনে করেন যে আমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের যেসব শাখায় পাঠদান করি সেখানে যদি আমরা যথাযথ পরিভাষা ব্যবহার করতে পারি তাহলে এ কাজটি সহজতর হবে। এ ধারণা যে একেবারে অযৌক্তিক তা নয় এবং কিছু কিছু পরিভাষা যে তৈরি করা হয়নি তাও নয়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে পরিভাষা প্রয়োগ করে বিশুদ্ধ বাংলায় পাঠদান অনেক সময় সহজতর নাও হতে পারে। মনে রাখতে হবে বিশ্বের বৈজ্ঞানিক যে জ্ঞানকোষ নির্মিত হয়েছে তার অনেকখানিই প্রকাশিত হয়েছে ও হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় পুস্তক ও জার্নাল হিসেবে। বাংলায় পড়াতে হলে বা গবেষণা করতে হলে এই পুস্তক ও জার্নালের ব্যবহার না করে পারব না এবং এগুলোতে যে জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে তা যদি আমরা ছাত্রদের সামনে তুলে ধরতে চাই তাহলে অনুবাদের প্রসঙ্গ এসে পড়ে আর সাথে সাথে পরিভাষার প্রসঙ্গটিও এসে যায়। বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুবাদ একটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তা মনে রাখতে হবে। কিন্তু এ কথাও মনে রাখা প্রয়োজন যে অনুবাদের মাধ্যমে আমরা সব সময় আসল ভাবটা নাও ফুটিয়ে তুলতে পারি। ঞযব যড়ৎংব রং ধ হড়নষব ধহরসধষ-এই প্রবাদটি সবাই জানেন এবং অশ্বের হড়নরষরঃু ও যে কি তাও সবাই উপলব্ধি করেন। কিন্তু আমরা যখন এই প্রবাদটি বাংলায় প্রকাশ করি এভাবে যে, অশ্ব একটি উদার প্রাণী তখন ঔদার্য শব্দটি হড়নরষরঃু শব্দটির অর্থ বহন করে না। ঔদার্য বাদ দিয়ে যদি অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করি তাহলেও কিন্তু তা হড়নরষরঃু-র অর্থ প্রকাশ করে না। এ এক অদ্ভুত ব্যাপার; হড়নরষরঃু আর কিছু নয়, হড়নরষরঃু ছাড়া।
বিজ্ঞানের অনেক শাস্ত্রে এমন অনেক শব্দ আছে যা বিজ্ঞানের ঢ়যবহড়সবহড়হ তুলে ধরে। এমনি একটি শব্দ হলো ঢ়ড়ষধৎরংধঃরড়হ। যদিও কষ্ট করে ঢ়ড়ষধৎরংধঃরড়হ-এর একটি বাংলা পরিভাষা কেউ খুঁজে পায়, কিন্তু ফবঢ়ড়ষধৎরুধঃরড়হ-এর পরিভাষা কী করে পাবে? ঐ পরিভাষার আগে ‘অ’ বা ‘ন’ বসিয়ে? না, তাতে খুব একটা কাজ হবে না। এ কথাগুলোর মানে এই নয় যে, পরিভাষার কাজটাকে খাটো করে দেখার অবকাশ আছে। যতদূর সম্ভব অনুবাদ করতে হবে এবং সঠিকভাবে পরিভাষাও করতে হবে । কিন্তু সব জিনিস অনুবাদের দরকার আছে কি? এখন মষড়নধষরংধঃরড়হ বা বিশ্বায়নের যুগে পৃথিবীর সকল অধিবাসী একই শব্দ দ্বারা একই সময়ে একই বস্তুকে বোঝাতে চায়। যেমন ঈউ (পড়সঢ়ধপঃ ফরংশ), পধংংবঃঃব ইত্যাদি, এসব শব্দ বা অন্যান্য বৈজ্ঞানিক শব্দ যেমন ঃবষবারংরড়হ, ঢ-ৎধু, ঁষঃৎধংড়হড়মৎধঢ়য এগুলোর বঙ্গানুবাদ বা বষবপঃৎড়হ, ঢ়ড়ংরঃৎড়হ, যুফৎড়মবহ, ড়ীুমবহ এগুলোর বঙ্গানুবাদ করার সত্যিই কোন দরকার আছে কি?
এক্ষেত্রে একটি বিকল্পধারার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। আমি নিজে এই বিকল্প ধারাটি ব্যবহার করেছি এবং সুফল পেয়েছি। এছাড়াও এই বিকল্পধারার সমর্থন আমি ড. কুদরত-ই-খুদা ও ড. সত্যেন বোসের জীবদ্দশায় তাদের কাছ থেকে লাভ করেছি। বিকল্পধারাটি হলো এই যে, নামবাচক বৈজ্ঞানিক শব্দগুলো যেগুলো বিশ্বব্যাপী প্রচলিত হয়ে গেছে সেগুলোর ইংরেজি রূপ ঠিক রেখেই ক্রিয়াবাচক শব্দগুলো যদি আমাদের মাতৃভাষা বাংলাভাষার মাধ্যমে করি তাহলে পাঠদানে কোন সমস্য হয় না। ব্যাপারটা একটু খিচুড়ি গোছের হতে পারে কিন্তু এ খিচুড়ি খুবই উপাদেয় হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ- আণবিক বিজ্ঞান পড়ানোর সময় যদি বলা হয় যে একটি ইলেকট্রন যদি উচ্চ তেজাবস্থার একটি কক্ষপথ থেকে নি¤œ তেজাবস্থার একটি কক্ষপথে লাফ দেয় তাহলে একটি ৎধু বা রশ্মি নির্গত হয় এবং সেই রশ্মির তেজ এই দুই তেজাবস্থার ব্যবধানের সমান হয়, তাহলে ধঃড়সরপ ঃৎধহংরঃরড়হ-এর ব্যাপারটি ছাত্রদের বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না। এমনকি কক্ষ কথাটি না বলে ‘অরবিট’ কথাটি বললেও কোন অসুবিধা হয় না। বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের একটি অ্যাপ্রোচ যদি আমরা আগে থেকেই নিতাম তাহলে এক্ষেত্রে আমরা ইতোমধ্যেই অনেকটা অগ্রগতি লাভ করতাম।
পরিশেষে যে কথাটি বলতে চাই তা হলো, একজন শিক্ষক বা গবেষক যদি তার বিষয়কে খুব ভালোভাবে বুঝে থাকেন কেবল তখনই তিনি মাতৃভাষার মাধ্যমে তার বিষয়টি অন্যের সামনে তুলে ধরতে পারেন। শিক্ষকের বোধগম্যতার উপরেই ছাত্রের বোধগম্যতা অনেকখানি নির্ভর করে। তাই সাইন্টিফিক কনসেপ্টগুলো যে শিক্ষকের কাছে ঝকঝকে তকতকে হতে হবে তা বলাই বাহুল্য। আর পরিভাষার গ্রহণযোগ্যতা হলো এর চলের উপর- ছড়াতে ছড়াতে যেমন ‘ছড়া’ ঠিক তেমনি চলতে চলতে ‘চল’। আমরা যদি বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণায় অধিকতর ব্রতী হই, আমরা যদি নিজেরাই নতুন গবেষণার পথিকৃত হই এবং বিজ্ঞান বিষয়াদি সম্পর্কে আমাদের ধ্যান-ধারণা যদি অত্যন্ত স্পষ্ট হয় কেবল তখনই আমরা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত বৈজ্ঞানিক শব্দগুলো ব্যবহার করে আমাদের সমৃদ্ধ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে প্রাণবন্ত পাঠদান করতে পারব।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ভিসি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, প্রতিষ্ঠাতা ভিসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।