প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কের মাত্র এক চতুর্থাংশ ইউক্রেনকে দিচ্ছে পশ্চিমারা
ব্রিটেনের সানডে টাইমস রোববার জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুর মধ্যে ইউক্রেন পশ্চিম-প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কগুলোর এক চতুর্থাংশের কম পাবে। এতে
১ জানুয়ারি। শুরু হলো একটি নতুন বছর। শুধু আমাদের দেশে নয়, শুধু আমাদের জীবনেই নয়, পৃথিবীব্যাপীই আজ শুরু হলো নতুন একটি বছর। আর যে ক্যালেন্ডার বা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী এ বছর গণনা, তাকে আমরা সাধারণত ইংরেজি ক্যালেন্ডার বলেই জানি। এ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন তথা নববর্ষ উদযাপনটা গতকাল সূর্য ডুবার পর থেকেই শুরু হয়েছে, চলবে আজ সারাদিন। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এসেই নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। তবে বিশেষ করে এটা কার্যকর হয় ৩১ ডিসেম্বর সূর্য ডোবার পর থেকেই। এক সময় প্রিয়জনদের চিঠি কিংবা গ্রিটিংস কার্ড পাঠিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর রেওয়াজ থাকলেও এখন আর কেউ তা করে না। তার স্থলে মোবাইলফোন এবং ইন্টারনেট নিয়ে এসেছে নতুন মাত্রা। নববর্ষের শুভেচ্ছাবাণীসহ ক্ষুদে বার্তা মোবাইল থেকে মোবাইলে বা অন্যকোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস থেকে ডিভাইসে ছড়িয়ে যায়, দোলা দিয়ে যায় প্রিয়জনদের মনে। ইন্টারনেটে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস্অ্যাপ, বøগের মতো বিভিন্ন সামাজিক সাইট কিংবা ইমেইলে ছড়িয়ে পড়ে বাহারী রং আর ডিজাইনের ডিজিটাল গ্রিটিংস কার্ড। থাকে নানা আনুষ্ঠানিকতাও।
আমরা বাংলাদেশি, আমরা বাঙালি। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিও বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের নিজস্ব বর্ষপঞ্জিও আছে। যদিও আমাদের বাংলা বর্ষপঞ্জি ততটা ব্যবহার হয় না। তবু আমরা বাংলা নববর্ষ ঘটা করেই পালন করি। তারপরেও ইংরেজি নববর্ষের আবেদনটা আমরা এখন আর অস্বীকার করতে পারি না। আর এটা শুধু আমাদের ক্ষেত্রেই নয়, বরং পৃথিবীব্যাপী প্রত্যেক দেশ এবং জাতির উপর কমবেশি প্রভাব প্রতিষ্ঠা করেছে এই ক্যালেন্ডার। প্রায় প্রতিটা দেশ ও জাতির নিজস্ব বর্ষপঞ্জি আছে এবং তারা সেটাকে মেনে চলে। তারপরেও এ ইংরেজি ক্যালেন্ডারকে তারা পাত্তা না দিয়ে পারে না। এর সাথে এখন জড়িয়ে গেছে প্রতিটি দেশ এবং জাতির রাষ্ট্রীয় ও প্রাত্যহিক কর্মকান্ড।
তবে বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত এ ক্যালেন্ডার বা বর্ষপঞ্জি, যাকে আমরা ইংরেজি ক্যালেন্ডার বলতেই পছন্দ করি, তা কিন্তু আসলেই ইংরেজি ক্যালেন্ডার নয়। কোনো ইংরেজ এ ক্যালেন্ডার প্রণয়নও করেনি। এমনকি ইংল্যান্ড বা বৃটেনেও এ ক্যালেন্ডার প্রথম চালু হয়নি। কয়েক হাজার বছর আগে এ ক্যালেন্ডার প্রণয়ন এবং প্রচলন হলেও ইংল্যান্ডে এর প্রচলন হয়েছিল মাত্র ২৭০ বছর আগে। ১৭৫২ সালে ইংরেজরা প্রথম তাদের দেশে এ ক্যালেন্ডারের প্রচলন করেছিল।
পরিচিতি
বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত ক্যালেন্ডারের যে রূপ বা সংস্করণটি আমরা এখন দেখি, শুরুতে তা এ অবস্থায় ছিল না। এটা পর্যায়ক্রমে সংশোধন ও পরিমার্জন হতে হতে আজকের এই রূপটি লাভ করেছে। বর্তমান রূপটি প্রবর্তন করা হয়েছিল আজ থেকে ৪৪০ বছর আগে। ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে ক্যাথলিক মতবাদে অনুসারী খ্রিস্টানদের ত্রয়োদশ ধর্মগুরু পোপ গ্রেগরিয়ান এ ক্যারেন্ডারটির প্রবর্তন করেছিলেন। তবে পোপ গ্রেগরিয়ান নতুন কোনো ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেননি। বরং তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার প্রবর্তিত ক্যালেন্ডারের কিছু অসঙ্গতি সংশোধন করেছিলেন। আবার জুলিয়াস সিজারের অনেক আগেই রোমানরা এ ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করেছিল এবং তারা সেটা ব্যবহারও করত। কিন্তু তখনকার ক্যালেন্ডারে মাস এবং বছরের হিসাব ততটা সূ² ছিল না। ফলে প্রকৃত সৌরবৎসরের সাথে ক্যালেন্ডারের বছরের সমন্বয় ছিল না। এটা জানতে পেরে সম্রাট জুলিয়াস সিজার, ক্যালেন্ডার সংশোধন করে সৌরবৎসরের সাথে সমন্বয় করেন। ফলে তখন থেকে এ ক্যালেন্ডার রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের নামানুসারে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার পোপ গ্রেগরিয়ান কর্তৃক সংশোধীত হওয়ায় পোপের সম্মানে ক্যালেন্ডারের সর্বশেষ এ সংস্করণের নাম রাখা হয় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। এখন আমরা সাধারণত যাকে ইংরেজি ক্যালেন্ডার বলে থাকি, এটা হচ্ছে সেই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।
পরিবর্তন
রোমনরা ঠিক কখন থেকে ক্যালেন্ডারের ব্যবহার শুরু করেছিল তা হয়তো নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে তারা খ্রিস্টপূর্ব কয়েক হাজার বছর ধরে যে, এ ক্যালেন্ডারের ব্যবহার করত তাতে সন্দেহ নেই। তবে শুরুতে দিন, মাস বা বছরের হিসাবটা বর্তমান ক্যালেন্ডারের মত ছিল না। কুসংস্কারের কারণে রোমানরা জোড় তারিখকে অশুভ মনে করত। তাই তাদের মাসের হিসাব হতো ২৯ অথবা ৩১ দিনে। একমাত্র ফেব্রæয়ারি মাস ছিল ব্যতিক্রম। এটাকে তারা ২৮ দিনেই গণনা করত। রোমানদের ক্যালেন্ডারে ৪টি মাস ছিল ৩১ দিনে, ৭টি মাস ছিল ২৯ দিনে আর ফেব্রæয়ারি গণনা করা হতো ২৮ দিনে। এভাবে তাদের ক্যালেন্ডারে ৩৫৫ দিনে বছর হতো। কিন্তু তারা জানত এবং বিশ্বাস করতো যে, আসলে ৩৬৫ দিনেই বছর হয়। তাই তারা তাদের বিশ্বাস এবং ক্যালেন্ডারের সমন্বয় করার জন্য প্রত্যেক দ্বিতীয় বছরে তাদের ক্যালেন্ডারে ২২ অথবা ২৩ দিনের একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করতো। যাকে তারা মার্সিডোনিয়াস নামে ডাকত।
খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে রোমান সম্রাট জানতে পারেন যে, তাদের ক্যালেন্ডারে ৩৬৫ দিনে বছর হলেও এক সৌরবৎসর সমান ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা। কিন্তু তাদের ক্যালেন্ডারে এই ৬ ঘণ্টার হিসাব না থাকায় প্রতি বছর ৬ ঘণ্টা করে এগিয়ে যাচ্ছে ক্যালেন্ডারের হিসাব। তাই তিনি নির্দেশ দিলেন, সৌরবৎসরের সাথে ক্যালেন্ডারের সমন্বয় করার। জুলিয়াস সিজারের নির্দেশে তৎকালীন জ্যোতির্বিদগণ ক্যালেন্ডারের সংস্কার করেন। একই সাথে ১২টি মাস এবং প্রতিটি মাসের দিন সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়, যা আজকের ক্যালেন্ডারেও বর্তমান। কিন্তু এতেও ৩৬৫ দিনেই বছর নির্ধারিত হয়। তবে অতিরিক্ত ৬ ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্য প্রত্যেক চতুর্থ বছরের ফেব্রæয়ারি মাসের সাথে বাড়তি একদিন যোগ করে ৩৬৬ দিনে বছর গণনার বিধি প্রবর্তন করা হয়, যাকে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ বলা হয়। এই লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ সম্বলিত ক্যালেন্ডার খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দ থেকে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার নামে ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রচলিত ছিল।
পর্যায়ক্রমে জ্যোতির্বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এক সময় মানুষ জানতে পারে যে, এক সৌরবৎসর সমান ঠিক ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা বা ৩৬৫.২৫ দিন নয়, বরং তার চেয়ে কিছুটা কম। তাছাড়া ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরিয়ান আরো একটা বিষয় লক্ষ্য করেন যে, রোমান ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃক ৩২৫ খ্রিস্টাব্দে হিসাব করে ২১ মার্চ দিবারাত্রি সমান হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে এসে সে হিসাব আর মিলছে না, বরং ২১ মার্চের পরিবর্তে ১১ মার্চ দিবারাত্রি সমান হচ্ছে। ফলে ক্যালেন্ডারের নির্ধারিত বসন্তকাল শুরু হওয়ার ১০ দিন আগেই প্রকৃতিতে বসন্তকাল শুরু হয়ে যাচ্ছে। এটা উপলব্ধি করেই তিনি ক্যালেন্ডার সংস্কারের উদ্যোগ নেন।
তখন হিসাব করে দেখা যায়, জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে গড়ে এক বছর সমান ধরা হচ্ছে ৩৬৫.২৫ দিন, কিন্তু বাস্তবে এক সৌরবৎসব সমান হলো ৩৬৫.২৪২২ দিন। এর ফলে প্রতি বছর প্রায় ১১ মিনিট করে প্রকৃতির সাথে ক্যালেন্ডারের ব্যবধান তৈরি হয়েছে। আর এ কারণেই ৩২৫ খ্রিস্টাব্দের হিসাবের সাথে ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দের হিসাব মিলছে না। অর্থাৎ এই (১৫৮২-৩২৫ = ১২৫৭ বছরে) ১২৫৭ বছরে প্রকৃতির সাথে ক্যালেন্ডারের ব্যবধান হয়ে গেছে (৩৬৫.২৫- ৩৬৫.২৪২২) ১২৫৭ দিন অর্থাৎ প্রায় ১০ দিন। এ কারণে প্রতিবছর ঋতুর আরম্ভকাল একটু একটু করে সরে এসেছে। ফলে খ্রিস্টানদের ইস্টার দিবস গ্রীষ্ম ঋতুতে চলে আসছে, যা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক। এই ভুল সংশোধনের জন্য ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দের ক্যালেন্ডার থেকে ১০ দিন বাদ দেওয়া হয়। এ কারণেই সে বছর ৪ অক্টোবরের পরের দিন ৫ অক্টোবর না ধরে ১৫ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়। আর একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর জন্য ৪ দ্বারা বিভাজ্য সালগুলোকে লিপ ইয়ার ধরার পদ্ধতিতেও কিছুটা সংস্কার আনা হয়। হিসাব করে দেখা যায় যে, প্রতি ৪০০ বছরে এই ভুলের কারণে প্রায় ৩ দিনের ব্যবধান হতো। তাই পোপ ঘোষণা করেন যে, এখন থেকে ৪ দ্বারা বিভাজ্য সালকে লিপ ইয়ার ধরার পদ্ধতি ঠিক থাকবে, কিন্তু এ নিয়ম শতাব্দীর শেষ বছরের জন্য প্রযোজ্য হবে না। শতাব্দীর শেষ বছর সংখ্যা ৪ দ্বারা বিভাজ্য হওয়ার পাশাপাশি ৪০০ দ্বারাও বিভাজ্য হলেই কেবল তাকে লিপ ইয়ার বলা যাবে। আর এ কারণেই বর্তমান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৭০০, ১৮০০, ১৯০০ এবং ২১০০ এই সালগুলি ৪ দ্বারা বিভাজ্য হলেও লিপ ইয়ার নয়। অপর দিকে ১৬০০, ২০০০ এবং ২৪০০ সালগুলি ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য হওয়ার কারণে লিপ ইয়ার। ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরিয়ান কর্তৃক প্রবর্তিত এই নিয়ম এখনো চলছে। আর পোপের সম্মানে এ ক্যালেন্ডারের নাম গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার রাখা হলেও আমরা একে সাধারণত ইংরেজি ক্যালেন্ডার বলেই অভিহিত করি। বিভিন্ন দেশে এটা ওয়েস্টার্ন ক্যালেন্ডার বা খ্রিস্টিয়ান ক্যালেন্ডার নামেও পরিচিত।
প্রচলন
ক্যাথলিক পোপ গ্রেগরিয়ান কর্তৃক ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হলেও শুরুতে এ ক্যালেন্ডার মেনে নিতে অনেকের আপত্তি ছিল। বিশেষ করে প্রটেস্টান বা অন্যান্য মতবাদে বিশ্বাসী খ্রিস্টানরা এটাকে ক্যাথলিকদের একটা চক্রান্ত হিসেবেই আশঙ্কা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, ক্যাথলিকরা এই ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে অন্যান্যদের ক্যাথলিক মতবাদে ফিরিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। এ কারণেই অনেক দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন প্রবল বাঁধার মুখে পড়ে।
স্পেন, পর্তুগাল, লিথুনিয়াম এবং ইতালি একযুগে ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দের ৪ অক্টোবরের পরের দিন শুক্র বারকে ১৫ অক্টোবর ধরে প্রথম গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ব্যবহার শুরু করা হয়। ফ্রান্স ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বরের পরের দিন ২০ ডিসেম্বর, ডাচরা ১৪ ডিসেম্বরের পরের দিন ২৫ ডিসেম্বর ধরে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডাকে স্বাগত জানায়। বেলজিয়াম ১৫৮৩ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারির পরের দিন ১২ জানুয়ারি গণনা শুরু করে। এভাবেই ক্রমান্বয়ে এ ক্যালেন্ডার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তবে ব্রিটিশরা এ ক্যালেন্ডার গ্রহণ করেছিল ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে এসে। আর সে সময় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে পূর্বেকার জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ব্যবধান হয়ে গিয়েছিল ১১ দিন। তাই ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দের ২ সেপ্টেম্বরের পরের দিন ইংরেজদের গণনা করতে হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। আর ইংরেজরা ভারতীয় উপমহাদেশে এই ক্যালেন্ডার প্রচলন করেছিল।
লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।