প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কের মাত্র এক চতুর্থাংশ ইউক্রেনকে দিচ্ছে পশ্চিমারা
ব্রিটেনের সানডে টাইমস রোববার জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুর মধ্যে ইউক্রেন পশ্চিম-প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কগুলোর এক চতুর্থাংশের কম পাবে। এতে
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত হিমালয়ের কাছে এবং দেশের একেবারে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। এই জেলার আদি নাম ছিল ‘নিশ্চিন্তপুর’। স্বাধীনতার পর থেকে বলতে গেলে প্রাপ্তির খাতা শূন্য। লোকসানে থাকা চিনিকল। বিলুপ্তির পথে রেশম কারখানা চলছে হেলেদুলে। তারপরও মানুষ স্বপ্ন দেখে। প্রাপ্তির খাতা শূন্য থাকলেও জেলার লোকজন আগামীর স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে থাকবে।
এখনো সবার আশা জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। ঠাকুরগাঁওয়ের বিমানবন্দরটি চালু হবে- এমন স্বপ্ন দেখছে জেলাবাসী। এসব স্বপ্ন যাতে পূরণ হয় তার জন্য প্রায়ই চলে আন্দোলন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের প্রাণের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিমানবন্দর। উত্তরের অবহেলিত মানুষকে শিক্ষা অর্জনের জন্য যেতে হয় দেশের নানা প্রান্তে।
কৃষি নির্ভর এলাকার মানুষের পেটে ভাতের ব্যবস্থা করতে কষ্টের শেষ নেই। সেখানে পড়াশোনার জন্য তাদের চাহিদা আকাশ সমান। নিজেরা চাষাবাদ করে কষ্ট করে চললেও স্বপ্ন পরবর্তী প্রজন্ম যদিও চাষাবাদ করে তবে তা যেন আরো আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর হয়। সে সাথে কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে।
জীবনযুদ্ধে পড়ালেখার বিকল্প যে নেই সে কথা তা বুঝে গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ। এইচএসসি শেষে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে ছুটতে হয় ঠাকুরগাঁওয়ের বাইরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে সন্তান কোথায় থাকবে? ভর্তি হতে পারবে তো? এমন হাজারো দুঃশ্চিন্তায় বাবা-মায়ের দিন পার হয়। ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে সন্তান নিশ্চিন্তে লেখাপড়া করতে পারবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহ. সাদেক কুরাইশীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওবাসীকে দেওয়া কথা রাখবেন বলে আমার বিশ্বাস। আলোচনা চলছে এবং আমরা আশাবাদী। অপরদিকে বিমানবন্দর চালু করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী।
ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাই আন্দোলনের শুরু থেকেই আছেন ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক চৌধুরী। তিনি ইনকিলাবকে জানান, খুব দ্রæত ঠাকুরগাঁওবাসীর কাছে সুখবর আসবে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বপ্নপূরনে খুব বেশি সময় লাগবে না।
ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও বিমানবন্দর চালুর দাবি অনেক পুরনো। আর স্বপ্নগুলো শুধু ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের নয় উত্তরের তৃণমূল মানুষের স্বপ্ন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।