বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অনেকেই আছেন শপিং করতে গিয়ে পোশাক ট্রায়াল দেন। এতে সঠিক মাপের পোশাক কেনা যায়। দেখা যায় বাড়িতে আসার পর যে পোশাকটি কিনেছেন তার মাপ ঠিক হয়নি। এজন্য দোকান থেকেই ট্রায়াল দিয়ে আসা খুবই ভালো উপায়। তবে এরই সুযোগ নিচ্ছে সমাজের বিকৃত মস্তিষ্কের কিছু মানুষ।
ট্রায়াল রুম কিংবা হোটেলের রুম, বাথরুমে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করছে ভিডিও। এরপর তা দিয়ে নারীদের নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। হোটেল হোক বা ড্রেসিং রুম, লুকানো ক্যামেরা রাখা এই যুগে এনিয়ে দুশ্চিন্তা অমূলক কিছু নয়। প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে কীভাবে অসাধু কাজ করা যায় তারই নিদর্শন গোপন ক্যামেরা।
তবে আপনি যদি একটু বুদ্ধি খাটান তাহলে এই গোপন ক্যামেরা খুঁজে বের করতে পারবেন। গোপন ক্যামেরা যতই ছোট হোক তা লুকানো সহজ নয়। যেখানেই যান প্রথমে পরীক্ষা করে নিন কোথাও কোনো ক্যামেরা লুকানো রয়েছে কি না।
বিশেষ করে খেয়াল রাখুন আসবাব কিংবা দরজার হাতল, অদ্ভুতভাবে লাগানো ছবির ফ্রেম, ল্যাম্পশেড, দেয়াল ঘড়ির মধ্যে লুকোনো থাকতে পারে গোপন ক্যামেরা। ক্যামেরা লুকানোর আরেকটি প্রচলিত স্থান হলো টয়লেট।
অদ্ভুতভাবে ঘুরিয়ে রাখা শাওয়ারের মুখ, বিশেষ ধরনের আসবাব কিংবা আয়নার পেছনে থাকতে পারে গোপন ক্যামেরা।
ক্যামেরার কাজ করার জন্য মূলত তিনটি জিনিসের প্রয়োজন। দৃশ্যমানতা, বিদ্যুতের উৎস ও যোগাযোগের নেটওয়ার্ক। সে কারণে সুইচ বোর্ডের কাছাকাছি স্থান, বাতি লাগানোর ফাঁকা জায়গা, টেলিভিশন বা ডিভিডি যন্ত্র এ সবই গোপন ক্যামেরা রাখার প্রচলিত স্থান। জেনে নিন ক্যামেরা খুঁজে পাওয়ার আরও কিছু পদ্ধতি-
ক্যামেরা খুঁজে পেতে ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারে প্রযুক্তিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যামেরা খুঁজে পাওয়ার একটি সহজ উপায় হলো অন্ধকারে উজ্জ্বল আলো ফেলা। ক্যামেরা যতই ক্ষুদ্র হোক, তাতে লেন্স থাকবেই। আর উজ্জ্বল আলো লেন্সে পড়লে তার থেকে নীল প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। খালি চোখে ধরা না পড়লে ব্যবহার করতে পারেন মোবাইল ফ্ল্যাশের আলো।
ইদানিং গোপন ক্যামেরা খোঁজার অ্যাপও এসে গেছে। ক্যামেরার নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করে এই ধরনের অ্যাপ। আবার অনেক সময়, ক্যামেরার অপটিক্যাল তারের জন্য ফোনের নেটওয়ার্কে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দেখলে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে।
ট্রায়াল রুমে বা বাথরুমে গেলে প্রথমেই রুমের আয়না ভালো করে পরীক্ষা করে নিন। কাচের ওপর একটি আঙুল রেখে দেখুন। যদি দেখেন কাচের ওপর রাখা আঙুল আর আয়নায় দেখতে পাওয়া আঙুলের প্রতিফলনের মধ্যে সামান্য দূরত্ব রয়েছে, তাহলে বুঝবেন সব ঠিক আছে। কিন্তু যদি আয়নার ওপর রাখা আঙুল আর তার প্রতিফলনের মধ্যে কোনো দূরত্ব না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এক্ষেত্রে কোনো কারসাজি নিশ্চয়ই আছে! কেউ হয়তো আয়নার পিছনে ক্যামেরা লুকিয়ে রেখেছে!
ট্রায়াল রুমে ঢুকে সব লাইট বন্ধ করে দিন। চারদিকে তাকিয়ে দেখুন ঘরের মধ্যে কোথাও লাল বা সবুজ আলোর বিন্দু দেখা যাচ্ছে কি না। যদি দেখা যায় তাহলে বুঝবেন যে সেখানে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
ট্রায়াল রুমে ঢুকে আপনার মোবাইল থেকে কাউকে কল করুন। যদি কল করা যায় ও নেটওয়ার্ক থাকে তাহলে ওই ঘরে লুকানো ক্যামেরা নেই। আর যদি কল করা না যায় ও নেটওয়ার্ক হঠাৎ ডাউন হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সেখানে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
কারণ গোপন ক্যামেরার সঙ্গে এক ধরনের ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল থাকে। সিগন্যাল ট্রান্সফার করার সময় এর ইন্টারফিয়ারেন্স হতে থাকে। যার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক সেখানে কাজ করে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।