Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে একাধিক বাফার জোন তৈরি করবে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

চীন তার সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে একাধিক বাফার জোন তৈরি করবে বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চীন প্রশাসন এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। উহানে করোনার বিস্তার শুরু হওয়ার পর থেকে গত দুই বছর ধরেই চীন করোনা নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আসছে। মাত্র একজন বাসিন্দার করোনা ধরা পড়ায়, পুরো শহর লকডাউন ও শহরের সব বাসিন্দাকে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা করানোর মতো উদ্যোগ নিয়েও বেইজিং প্রশাসন সংক্রমণ ঠেকাতে পারছে না। সা¤প্রতিক সময়ে চীনের একাধিক শহরে নতুন করে করোনার বিস্তার লক্ষ্য করা গেছে। ইউনান প্রদেশের রুইলি শহরের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত। আর ইনার মঙ্গোলিয়ার মানজৌলি শহরের সঙ্গে আছে রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ার সীমান্ত। এ শহর দুটিতে নতুন করে করোনার বিস্তার হয়েছে। বেইজিং প্রশাসন বলছে, শহর দুটিতে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে সীমান্ত পেরিয়ে আসা মানুষদের কারণে। তবে চীনকে এখন সবচেয়ে বেশি লড়াই করতে হচ্ছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিয়ান শহরে। বলা হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে ফ্লাইটে করে আসা এক ব্যক্তির কারণেই শিয়ানে নতুন করে করোনার বিস্তার হচ্ছে। গত মঙ্গলবার শিয়ানে ১৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অবশ্য গত সাত দিন ধরেই ওই শহরে লকডাউন দিয়ে রেখেছে প্রশাসন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) সাবেক কর্মকর্তা লিয়াঙ ওয়ান্নিয়ান বর্তমানে বেইজিং প্রশাসনের করোনার বিস্তার রোধ সংক্রান্ত একটি কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। তার মতে, ওমিক্রনের কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত পদক্ষেপ কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে এনএইচসির প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে, স্থানীয় সরকারগুলোকে তাদের সীমান্তবর্তী শহরে বাফার জোন তৈরির উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দর ও কার্গো শ্রমিকদের আরও নজরদারি ও স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনার জন্যও বলা হয়। বলা হচ্ছে, বাফার জোনের অভ্যন্তরের অবস্থা স্বাভাবিকই থাকবে, যতদিন পর্যন্ত করোনা সম্প‚র্ণ নির্ম‚ল না হয়। বাফার জোনের মধ্যে যদি কারও সংক্রমণ ধরা পড়ে, তাহলে তাকে স্ক্রিনিং ও কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের আওতায় নেওয়া হবে। সাংহাইভিত্তিক একটি অনলাইন পত্রিকা দ্যপেপার.সিএনকে এ ব্যাপারে জানান লিয়াঙ। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাফার জোনে তল্লাশিচৌকি বসানো হবে। বাফার জোনের ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা যাতে নিকটবর্তী গ্রাম বা রাস্তায় না যেতে পারে, তা নিয়ন্ত্রণ করবে ওই চৌকি। বাফার জোন থেকে বের হতে হলে বিশেষ অনুমতিপত্রের দরকার হবে। বাফার জোনগুলো তৈরি করা হচ্ছে যাতে চীনের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে পুনরুদ্ধার করা যায়।’ বাফার জোন সম্পর্কে লিয়াঙ আরও বলেন, ‘বাফার জোন হবে ইনল্যান্ডে প্রবেশের দুয়ার। এর ফলে ঝুঁকি ও সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে। এ উদ্যোগের ফলে সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যয় কমাবে। স্থানীয় সরকারগুলোর ওপর চাপও কমাবে ওই জোন। গুয়াংঝু ইতিমধ্যেই একটি বিশালাকার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করেছে।’ অবশ্য বাফার জোনগুলোতে কীভাবে খাবার সরবরাহ করা হবে, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি পেইচিং প্রশাসন। ইতিমধ্যে থাকা কয়েকটি বাফার জোন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ করে বলা হচ্ছে যে, বাফার জোনে থাকা মানুষ কী খাবে তা এখনো নিশ্চিত করেনি সরকার। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ