মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কভিড-১৯ মহামারীর বিপর্যস্ত অবস্থা পার করছে বিশ্ব। চলছে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতা; অস্থিতিশীল শ্রমবাজার; চাপ বাড়ছে ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিত করার। আর্থিক মন্দা থেকে বাঁচতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। মুনাফায় ফিরতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও)। এ অবস্থায় ২০২২ সালে চাকরি হারানো নিয়ে উদ্বিগ্ন ৭২ শতাংশ সিইও। বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যালিক্সপার্টনারসের নতুন একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর ইয়াহু ফাইন্যান্স। সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা সবসময়ই নিজেদের চাকরি হারানো নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। নতুন হারটি মাত্র এক বছর আগের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। গত বছর ৫২ শতাংশ সিইও চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যবসা ও বিশ্বে পরিবর্তনের উন্মত্ত গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। ফলে উদ্বেগ বেড়েছে সিইওদের। সমীক্ষায় ৯৪ শতাংশ নির্বাহী জানিয়েছেন, তাদের ব্যবসায়িক মডেলগুলো আগামী তিন বছরের মধ্যে পরিবর্তন করতে হবে। তবে ৫৭ শতাংশ নির্বাহী ভয় পাচ্ছেন যে, তাদের কোম্পানি যথেষ্ট দ্রুত মানিয়ে নিচ্ছে না। নির্বাহীদের উদ্বেগের তালিকায় শীর্ষে ছিল, সরবরাহ চেইন, শ্রমবাজার ও ডিজিটালাইজেশন। বিশ্বজুড়ে মহামারী পরিস্থিতিকে জটিল করে তুললেও কভিড-১৯ ২০২২ সালে শীর্ষ ১০টি উদ্বেগের তালিকায় ছিল না। মাত্র ৩ শতাংশ নির্বাহী ভাইরাসটিকে তাদের প্রধান উদ্বেগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অ্যালিক্সপার্টনারস ১০টি শিল্পজুড়ে তিন হাজার প্রধান নির্বাহী ও নির্বাহীদের ওপর জরিপ চালিয়েছে। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া-প্যাসিফিকজুড়ে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। অ্যালিক্সপার্টনার্সের সিইও সাইমন ফ্রিকলি বলেন, প্রধান নির্বাহীদের ওপর সবচেয়ে বেশি চাপ থাকে। সরবরাহ চেইন ও শ্রমবাজারের মতো দীর্ঘস্থায়ী প্রতিবন্ধকতাগুলো এ চাপকে ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে। একটি সাক্ষাৎকারে সাইমন ফ্রিকলি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ভয়ের কারণ নিয়ে একটি তত্ত¡ রয়েছে। যে নির্বাহীরা ২০২০ সালে তাদের ব্যবসা অক্ষুণ্ন রেখে স্বস্তি পেয়েছিলেন, ২০২১ সালে তারা আবিষ্কার করেছিলেন যে, চাপ কমার পরিবর্তে ক্রমেই তারা ক্রমাগত চাপে পড়ে যাচ্ছেন। শেয়ারহোল্ডাররা ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির দাবি করলেও নির্বাহীদের ওপর কভিডজনিত প্রতিবন্ধকতা ক্রমেই বাড়ছিল। তিনি বলেন, তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের ব্যবসায়িক মডেলগুলো বেশ কয়েক বছর প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। তবে এখন সেই মডেল উপযুক্ত নয়। তারা এখন স্থানীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্বজুড়ে সরবরাহ চেইন তৈরি করতে ছোটাছুটি করছে। আমরা অর্থনৈতিক চক্র সম্পর্কে উদ্বেগের একটি ঘ‚র্ণায়মাণ সমুদ্র থেকে এ ধরনের প্রতিবন্ধকতার সমুদ্রে পড়ে গিয়েছি। যদিও এখন পর্যন্ত উদ্বেগগুলো তথ্যে ফুটে ওঠেনি। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বরখাস্ত, অবসর কিংবা অন্য চাকরিতে স্থানান্তর হওয়ার মতো প্রধান নির্বাহীদের প্রস্থান ২০২০ সালের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল প্রযুক্তি। এ খাতের প্রস্থান গত বছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেড়েছে। অক্টোবর ও নভেম্বরেই কেবল ৩৯ জন সিইও কোম্পানি ছেড়েছেন। নভেম্বর পর্যন্ত পুরো বছরে ছেড়ে যাওয়া নির্বাহীদের মোট সংখ্যা ১৬২। যেখানে গত বছর ১২৬ জন সিইও প্রযুক্তি কোম্পানি ছেড়েছেন। চলতি বছর সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া সবচেয়ে বড় নামগুলোর মধ্যে ছিলেন অ্যামাজনের জেফ বেজোস ও টুইটারের জ্যাক ডরসি। ইয়াহু ফাইন্যান্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।