বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, মানবাধিকার ও গনতন্ত্রের পক্ষে এবং স্বৈর শাসনের বিরুদ্ধে কলম ধরাই সাংবাদিকদের কাজ। যোগে যোগে সাংবাদিকরা এব্যাপার বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছেন। বর্তমানে দেশে একটি জুলুমবাজ ও অনির্বাচিত কর্তৃত্ববাদী সরকার জাতির উপর জেঁকে বসে আছে।
এম আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর দ্বি বার্ষিক সম্মলনে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকালে সারা বিশ্বে বিবর্ণ বাংলাদেশের চেহারা ফুটে উঠেছে। দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মৃত্যু পথযাত্রী
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দেয়া জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই অপরাধের জন্য আইন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকসহ দেশের মানুষ কোথাও আজ নিরাপদ নয়। কে কখন গুম খুন হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে দেশের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত।
সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ বলেন, গত ১২ বছরে ৫০ জন সাংবাদিকে হত্যা করা হয়েছে। শত শত নিরীহ লোকজনকে গুম খুন করা হয়েছে।
কক্সবাজার এর ৫জনসহ
সারা দেশে করোনা মহামারিতে মৃত্যু বরণ করা ৬৭ জন সাংবাদিকে তিনি স্মরণ করেন। তিনি বলেন সারা দেশে এখন এক বর্বর শাসন চলছে।
সারা দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের বর্বরতা চলে আসছে। তিনি কক্সবাজার এর ফরিদুল মোস্তফা ও ইমাম খাইর এর কথা স্মরণ করে নির্যাতনকারীদের বিচার দাবী করেন।
গতকালও চকরিয়ায় একজন সাংবাদিককে ইউএনও অফিসে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেছে। আমলারা এই দুঃসাহস পেয়েছে দেশে অনির্বাচিত সরকার বিরাজ করার কারণে।
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজিকে জেল খানায় নির্যাতনে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবী করেন। অথচ এই সাংবাদিক নেতা সারা জীবন সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করেছেন।
নির্বাচিত সরকার থাকলে এসব অভিযোগ সেখানে করা যেত। একটা প্রতিকারও পাওয়া যেত।
তিনি বলেন, প্রতিদিন কত চোর ডাকাতের জামিন হচ্ছে। অথচ এখনো রুহুল আমিন গাজির জামিন নিয়ে টাল বাহানা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার শহরের অভিজাত একটি হোটেলে সকাল ১০ টায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর উদ্বোধনী অধিবেশনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর
সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন রোকন, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর সভাপতি মমতাজ উদ্দীন বাহারী, সাংবাদিক নেতা জিএম আশেক উল্লাহ, শামসুল হক শারেক, আনছার হোসেন ও হুমায়ুন সিকদার।