নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারের পর ভারতীয় নেটিজেনরা কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মোহাম্মদ শামিকে। জাত-ধর্ম নিয়ে অশালীন বাক্যে চড়াও হয়েছিলেন তার উপর। ভারতীয় দল থেকে ছাঁটাই করে তাতে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার দাবিও ছিল তাদের। তিন মাস না যেতেই সেই শামির প্রশংসায় মেতেছেন ভারতীয় সমর্থকরা। আগের দিন তার বোলিং তোপেই সেঞ্চুরিয়ান টেস্টে লিড পেয়েছে ভারত। একই দিনে দারুণ দুটি দারুণ মাইলফলক স্পর্শ করেছেন শামি। যার একটি ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো করেছেন এ ভারতীয় পেসার।
প্রথম ইনিংসে ৩২৭ রান করেই ১৩০ রানের লিড পেয়েছে ভারত। যার ম‚ল কৃতিত্বই শামির। প্রোটিয়াদের গুঁড়িয়ে দিতে শামি ৫ উইকেট নেন ৪৪ রানের খরচায়। এইডেন মার্ক রাম ও কিগান পিটারসেনকে বোল্ড করে দিয়েছেন। আর টেম্বা বাভুমা, উইয়ান মুল্ডার ও কাগিসো রাবাডাকে পরিণত করেন উইকেটরক্ষকের ক্যাচে। এ ফাইফার তুলে নেওয়ার পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০০তম উইকেট তুলে নিলেন শামি। তিন বছর আগে এই সেঞ্চুরিয়ানেই কেশভ মহারাজকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করে নিজের শততম উইকেটটি পেয়েছিলেন তিনি। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একই মাঠে ক্যারিয়ারের ১০০ ও ২০০তম টেস্ট উইকেট নেওয়ার কীর্তি বিশ্বের আর কোনো বোলারের নেই।
ভারতের ১১তম বোলার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন শামি। আর পেসারদের মধ্যে পঞ্চম। শামির আগে ভারতের হয়ে টেস্টে এ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন অনিল কুম্বলে, কপিল দেব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, হরভজন সিং, ইশান্ত শর্মা, জাহির খান, বিষেণ সিং বেদি, চন্দ্রশেখর, শ্রীনাথ ও রবীন্দ্র জাদেজা। কপিল, ইশান্ত, জাহির ও শ্রীনাথের পর শামি হলেন ভারতের পঞ্চম পেসার যিনি এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন। ক্যারিয়ারের ৫৫তম টেস্টে ২০০ উইকেট নিলেন শামি। কপিল দেব ৫০তম টেস্টে এবং শ্রীনাথ ৫৪তম টেস্টে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। পরের ওভারে মহারাজকে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের ইনিংস গুটিয়ে দেন বুমরাহ।
দিনের শেষ দিকে আধা ঘণ্টা ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় ভারত। প্রথম ইনিংসের শেষ বলে উইকেট নেওয়া ইয়ানসেন এবার নিজের প্রথম বলে আগারওয়ালকে কট বিহাইন্ড করে জাগান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। সেটি যদিও হয়নি। রাহুল অপরাজিত আছেন ৫ রানে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা শার্দুল খেলছেন ৪ রান নিয়ে।
ভারত ১ম ইনিংস : ১০৫.৩ ওভারে ৩২৭ (আগের দিন ২৭২/৩) (রাহুল ১২৩, রাহানে ৪৮, পান্ত ৮, অশ্বিন ৪, শার্দুল ৪, শামি ৮, বুমরাহ ১৪, সিরাজ ৪*; রাবাদা ৩/৭২, এনগিডি ৬/৭১, ইয়ানসেন ১/৬৯)।
দ.আফ্রিকা ১ম ইনিংস : ৬২.৩ ওভারে ১৯৭ (এলগার ১, মারক্রাম ১৩, পিটারসেন ১৫, ডাসেন ৩, বাভুমা ৫২, ডি কক ৩৪, মুল্ডার ১২, ইয়ানসেন ১৯, রাবাদা ২৫, মহারাজ ১২; বুমরাহ ২/১৬, সিরাজ ১/৪৫, শামি ৫/৪৪, শার্দুল ২/৫১)।
ভারত ২য় ইনিংস : ৬ ওভারে ১৬/১ (রাহুল ৫*, আগারওয়াল ৪, শার্দুল ৪*; রাবাদা ০/৭, এনগিডি ০/৪, ইয়ানসেন ১/৪)। চতুর্থ দিন শেষে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।