মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নওমুসলিম ইমামের বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে আরও একটি মসজিদ বন্ধ করেছে ফ্রান্স। মঙ্গলবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলের বোভাইস শহরের মসজিদটি ছয় মাসের জন্য বন্ধ থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ওই ইমামের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ বিদ্বেষ ও সহিংস বার্তা ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে। দুই সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানিয়েছিলেন, ইমাম তার বক্তব্যে ‘খ্রিস্টান, সমকামী ও ইহুদিদের’ বিরুদ্ধে কথা বলায় বোভাইসের মসজিদ বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি। ওই মসজিদের ইমাম স¤প্রতি ইসলাম গ্রহণ করেছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে। এদিকে, এই ব্যাপারে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মসজিদ ব্যবস্থাপনা অ্যাসোশিয়েশনের আইনজীবী। ওই আইনজীবী জানান, ইমামকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝি চরমপন্থা ছড়ানোর কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে ফ্রান্সে ২১ মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অপর এক খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে টালমাটাল ইউরোপে কেবল ফ্রান্সেই এক দিনে ১ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর ইউরোপের আর কোনো দেশে আর কখনও এক দিনে এত বেশি রোগী শনাক্ত হয়নি। ফ্রান্সে মঙ্গলবার শনাক্ত হয়েছে মোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮০৭ জন নতুন রোগী। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯০ জনের। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর ৮৬ হাজার ৮৫২ জনের কোভিড ধরা পড়েছিল ফ্রান্সে। এরপর গত শনিবার প্রথমবারের মত এক দিনে ১ লাখের বেশি রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয় পশ্চিম ইউরোপের এই দেশে। সেই রেকর্ড তিন দিনও টিকল না। কেবল ফ্রান্স নয়, এক দিনে শনাক্ত রোগীর নতুন রেকর্ড হয়েছে ইতালি, গ্রিস, পর্তুগাল আর ইংল্যান্ডেও। ইতালিতে ৭৮ হাজার, পর্তুগালে ১৭ হাজার ১৭২, গ্রিসে ২১ হাজার ৬৫৭ এবং ইংল্যান্ডে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২৪ ঘণ্টায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে,ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে যাওয়ার মত গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি করোনাভাইরাসের আগের ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা চেয়ে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ কম। তবে নতুন এ ধরনটি অনেক বেশি সংক্রামক হওয়ায় একসঙ্গে অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হলে হাসপাতালে চাপ সামলানো কঠিন হবে এবং তাতে পুরো ইউরোপের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধসে পড়ার দশা হবে বলে সতর্ক করে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার সাপ্তাহিক যে প্রতিবেদন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত দিনে ইউরোপে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। আর আমেরিকা অঞ্চলে বেড়েছে ৩০ শতাংশ। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরান গত সোমবার সতর্ক করে বলেছিলেন, পরিস্থিতি যে দিতে যাচ্ছে, তাতে জানুয়ারির শুরুর দিকে সেখানে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আড়াই লাখও ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর ফ্রান্স হসপিটাল ফেডারেশন হুঁশিয়ার করে বলেছে, সবচেয়ে খারাপ সময়টা হয়ত এখনো আসেনি। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।