বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত সদস্য লিপি আক্তার তার নিজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি চালের মোট ৮টি কার্ড বিতরণ কররেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। উক্ত ইউপি সদস্য নিজ পরিবারের স্বামী, মেয়ে, দেবর, ভাই, বোন, শাশুড়ি ও মায়ের নামে কার্ড করে হত দরিদ্রের চাল লুফে নিচ্ছ বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ওই ওয়ার্ডগুলোর অনেক হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা চালের কার্ড পায়নি বলে অভিযোগ।
গতকাল বুধবার উক্ত ইউপি সদস্য লিপি আক্তারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান, “পরিবার একটি হলেও আমার দেবররা ভিন্ন খানা খায় বিধায় তাদের নামে রেশন কার্ড দিয়োছ। আর আমার মেয়ের জামাই বেকার বলে তার নামে ও আমার স্বামীর নামে একটি কার্ড রেখেছি”। আর উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আমির হোসেন খান বলেন, “আমার সারা ইউনিয়নের কোথাও রেশন কার্ডের বদনাম নাই, শুধু লিপি আক্তার পদ্মা নদীর অপর পাড়ের মেম্বার বলে সে একটু অনিয়ম করেছে বলে শুনেছি”।
জানা যায়, উক্ত ইউপি সদস্যর বাড়ী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইন্তাজ মোল্যার ডাঙ্গী গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে, চরহরিরামপুর ইউনিয়নের ১০ টাকার চাল বিতরণের সরকারি তালিকায় মহিলা মেম্বারের স্বামী শেখ আঃহাই ৯৫১ নং ক্রমিকে, একমাত্র কন্যা আইভি আক্তার ৯৭৪ নং ক্রমিকে, দেবর সাইফুল ইসলাম ৯৭৫ নং ক্রমিকে, শাশুড়ি জেলেকা বেগম ৯৭৬ ক্রমিকে, দেবরের স্ত্রী জয়গুন বেগম ৯৬২ নং ক্রমিকে, মা রোকেয়া খাতুন ৯৬১ ক্রমিকে, বোন জাবেদা বেগম ৯৩১ নং ক্রমিকে ও ভাই সেক লিটন ৯৩২ নং ক্রমিকে ১০ টাকার চাল নিয়মিত ভোগ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।