Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ ও বৈষম্য নিরসনে আইএলও কনভেশন-১৯০ অনুস্বাক্ষরের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:১৯ পিএম | আপডেট : ৫:৫০ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১

কর্মক্ষেত্রে নারী-পূরুষের সমতা ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) কনভেনশ-১৯০ এ বাংলাদেশের অনুস্বাক্ষরের দাবি জানিয়েছে পাবলিক সার্ভিস ইন্টারন্যাশনাল (পিএসআই) অন্তর্ভূক্ত বাংলাদেশের ৯টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের ট্রেড ইউনিয়নের মহিলা কমিটি। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসন, সমতা অর্জন এবং কনভেনশন অনুস্বাক্ষরের দাবিতে বুধবার র‌্যালি ও সমাবেশ করেছেন তারা। র‌্যালিটি রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

পিএসআই-এনসিসি’র সভাপতি আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে এনসিসি উইম্যান কমিটি ফর বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নার্গিস জাহান বলেন, পিএসআই ১৯০ কনভেনশনের ওপরে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর ১৫৪ দেশে ৭শ’র মতো ট্রেড ইউনিয়নের সাথে কাজ করছে। পিএসআই কাজ করছে আইএলও, ইউনিগ্লোবাল, জাতিসংঘের ইউএন উইমেন কমিশন, ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাথে এবং বাংলাদেশের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে। তাদের উদ্দেশ্য হলো- শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা, শ্রমিকরা যেন তাদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে পিএসআই বাংলাদেশে কাজ করছে।

ওসি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিএফটিইউসি’র মহিলা সম্পাদিকা শাকী রেজওয়ানা বলেন, একবিংশ শতাব্দিতে অন্তঃসত্ত্বা নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন, এখন কি আমাদের এসব দেখতে হবে? তাহলে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি! এখন সময় এসেছে ঘরে ঘরে প্রতিরোধ, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেকের আওয়াজ তুলতে হবে। আমরা অনেক বিষয়ে অগ্রসর হচ্ছি, কিন্তু মানসিকভাবে এতো বেশি পেছনে চলে যাচ্ছি এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে কক্সবাজারে সন্তান-স্বামীর সামনে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এধরণের উদাহরণ প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত ঘটছে। চিন্তাধারা-মননে পরিবর্তন আনতে হবে, যতদিন আনতে না পারবো ততদিন আইন করে কিছু হবে না। কেননা আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন না হলে কাগজে থেকে কোন লাভ নেই। অপরাধীর শাস্তিমূলক কোন দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই না। সেজন্য অপরাধী দিন দিন আরও অপরাধ করছে। দৃষ্টান্ত থাকলে বাকীরা সতর্ক হতো।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলসের পরিচালক কোহিনুর মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদেরকে রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। অথচ এটি হওয়ার কথা ছিল না। কারণ দেশ স্বাধীন হয়েছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে, সাম্যতার নীতিতে, সকলে মর্যাদা, গর্বের এবং সাম্যের সাথে নাগরিক হিসেবে জীবন-যাপন করবো এটাই ছিল স্বাধীনতার চেতনা-অঙ্গীকার। তিনি বলেন, আইএলও কনভেনশন-১৯০ যদি অনুস্বাক্ষর করা হয় এবং এর ভিত্তিতে যদি আইন করা হয় তাহলে বৈষম্য, অনাচার, শোষণ, নির্যাতন হচ্ছে তার প্রতিকার, প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন-পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ উইম্যান ওয়েলফেয়ার ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার ডিনা, পিজিসিবি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের মহিলা সম্পাদিকা ফেরদৌসী বেগম, ফাতেমা বেগম, ফেরদৌস আরা, আরজুমান আক্তারি, আয়েশা বেগম।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ