Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পথশিশুদের অধিকার রক্ষায় সমন্বিত কার্যক্রম জরুরি

গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:০৮ পিএম | আপডেট : ৫:১২ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১

পথশিশুদের অধিকার রক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। একটি ক্রস-সেক্টর বডি গ্রহণ করতে হবে যা পথশিশুদের সেবার সমন্বয় তত্ত্বাবধান করবে। সমন্বয়হীনতার কারণে এ কার্যক্রমের প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে পথশিশুদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘নেটওয়ার্কিং বিল্ডিং এমং এক্টরস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, পথশিশুদের জন্য টেকসই ফলপ্রসু পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের সংখ্যা নির্মূলে আঞ্চলিক পর্যায়ে কাজ করতে হবে। সরকার গৃহীত ও বেসরকারি সেবাসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন সাপেক্ষে একটি ডাটাবেজ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, পথশিশুদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাদের জন্য জাতীয় পর্যায়ে জরুরি হটলাইন নম্বর চালু করা দরকার এবং স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পিতৃ-মাতৃহীন পথশিশুদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিজ-পরিচয়ে জন্ম-নিবন্ধনের সুপারিশ করা দরকার।

সকল শিশুর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পথশিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। নগরায়ন, নদীভাঙন, বিবাহ বিচ্ছেদ, দারিদ্যতা ও বাল্যবিবাহসহ পথশিশু সৃষ্টির কারণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে একটি জরিপের ফলাফল উল্লেখ করে স্ক্যান বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি মো. মনিরুজ্জামান মুকুল বলেন, ৯৪ শতাংশ শিশু শারিরীক নির্যাতনের শিকার, ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশের জন্ম নিবন্ধন নেই এবং মাদকাসক্ত হলো ৮৫ শতাংশ পথশিশু।

অনুষ্ঠানে বক্তারা মেয়ে পথশিশুদের রাত্রি যাপনের নিশ্চয়তার বিষয়টির ওপর জোর প্রদান করে বলেন, মেয়ে শিশুরা দিনের বেলা বিভিন্ন স্থানে থাকতে পারলেও রাত্রিযাপন অনেক কঠিন হয়ে যায়। প্রায় সকল মেয়ে পথশিশুই কোন না কোনভাবে এসময় যৌন হয়রানির শিকার হয়।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে ও স্ট্রিট চিলড্রেন এক্টিভিস্টস নেটওয়ার্ক (স্ক্যান) বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই গোলটেবিল বৈঠকে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. এম এহ্ছানুর রহমান।

প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রশিদা বেগম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফাতেমা জহুরা ও সমাজসেবা কর্মকর্তা (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কে এম আবু রায়হান।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের শিক্ষা সেক্টরের যুগ্ম পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, স্ক্যানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. এম আফতাবুজ্জামান ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের কাপ-আপ প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মোদাচ্ছের হোসেন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ড. এস এম খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের চাইল্ড রাইটস এন্ড এডভোকেসি অফিসার নাজনীন শবনম। এছাড়াও গোলটেবিল বৈঠকে ২০টি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ