গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরের চাল পেলেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক দুলাল বিশ্বাস। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর দীননাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুলাল বিশ্বাস রঘুনাথপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত কাশিশ্বর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। তিনি হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে নিজ নামে কার্ড নিয়ে অপরাধ করেছে। বিত্তবান শিক্ষক দুলাল বিশ্বাস হতদরিদ্রদের ১০ টাকা দরের চালের কার্ড নেয়ায় এলাকার মানুষ নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন। তারা কার্ড প্রদানকারী ও গ্রহীতার বিচারের দাবি জানিয়েছেন। রঘুনাথপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের ১০ টাকা দরের চাল বিক্রিতে নিয়োজিত ডিলার ভূপতি বণিক বলেন, দুলাল বিশ্বাসের কার্ড নং-১৫৫। ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর শ্যামল বিশ্বাস তাকে কার্ড দিয়েছে বলে শুনেছি। দুলাল ওই কার্ডে সেপ্টেম্বর মাসে ৩০ কেজি ও অক্টোবর মাসে ৩০ কেজি মোট ৬০ কেজি চাল তুলেছে।
অভিযুক্ত দুলাল বিশ্বাস কার্ড পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি কার্ড চাইনি। কে বা কারা আমার নামে কার্ড ইস্যু করেছে তা আমি জানি না। আমার নামে কার্ড ইস্যু হওয়ায় আমি অবাক হয়েছি। তবে  এ কার্ডে গত ২ মাসে তিনি ৬০ কেজি চাল উত্তোলন করেছেন বলে জানান। এ চাল তিনি উত্তোলনের পর দুস্থদের দিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম মোর্শেদ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ওই শিক্ষক একজন বিত্তবান ও সচ্ছল মানুষ। দরিদ্রদের বঞ্চিত করে তার এ কার্ড নেয়া উচিত হয়নি। এ কার্ড নিয়ে সে অপরাধ করেছে। এমনকি তাকে যে কার্ড দিয়েছে সেও সমান অপরাধী। দু’জনেরই বিচার হওয়া উচিৎ বলে তিনি মন্তব্য করেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে অমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।