Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জানুয়ারিতে হতে পারে ন্যাটো-রাশিয়া বৈঠক

রুশ সাবমেরিনের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করছে ব্রিটিশ ফ্রিগেট সীমান্তে ন্যাটোর বিস্তৃতির জবাব দেয়া হবে : পুতিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ আগামী মাসে ন্যাটো-রাশিয়া পরিষদের বৈঠক আশা করছেন এবং এতে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তিনি মস্কোর সাথে যোগাযোগ করছেন। রবিবার জোটের এক মুখপাত্র একথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, স্টলটেনবার্গ এ পরিষদের মাধ্যমে মস্কোর সাথে সংলাপ ফের শুরু করতে সা¤প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছেন। ২০০২ সালে এ পরিষদ গঠিত হলেও ইউক্রেনে সংঘাতের কারণে বর্তমানে তা নিষ্ক্রিয় রয়েছে। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ অনুক‚ল জবাব দেয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ন্যাটোর ওই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আগামী ১২ জানুয়ারি এ বৈঠকের ব্যাপারে রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ করছি।’ ন্যাটো ইউক্রেনের কাছ থেকে ২০১৪ সালে রাশিয়ার জোরপূর্বক ক্রিমিয়া দখল করে নেয়ায় কঠোরভাবে নিন্দা জানায় এবং তাদের প্রতিবেশী দেশের ভ‚খন্ডগত সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে সম্মান জানাতে মস্কোর প্রতি আহŸান জানায়। অপর এক খবরে বলা হয়, পূর্বদিকে ন্যাটো জোটের বিস্তার রাশিয়ার জন্য ভয়াবহ নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে মস্কো। রাশিয়া বলেছে, ন্যাটোর কাছ থেকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি আদায় করা এখন মস্কোর জন্য ‘জীবন ও মৃত্যুর’ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ‘রোশিয়া-১’ টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, “গত দুই দশক বা তারও বেশি সময় আগে থেকে তারা [পাশ্চাত্য] আমাদেরকে পদ্ধতিগতভাবে প্রতারিত করে এসেছে। ফলে পরিস্থিতি এমন এক স্থানে এসে ঠেকেছে যেখানে আমাদের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এই প্রতারণা এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর রাজনৈতিক ও সামরিক অবকাঠামোর বিস্তার অব্যাহত রয়েছে।” পেসকভ বলেন, ইউক্রেন, জর্জিয়া ও মোলদোভাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করা হলে বিষয়টি ‘জীবন ও মৃত্যু’ হিসেবে গ্রহণ করবে মস্কো। এছাড়া, ইউক্রেনে আরেকটি গৃহযুদ্ধ বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস অঞ্চলে সংঘর্ষের বিস্তার রাশিয়া মেনে নেবে না। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনও রোশিয়া-১ চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পূর্বদিকে বিশেষ করে রুশ সীমান্তের দিকে ন্যাটো জোটের বিস্তারের প্রচেষ্টার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে তার দেশ। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এই জবাব দেয়ার সুযোগ রয়েছে এবং তা নির্ভর করছে আমাদের সামরিক বিশেষজ্ঞরা কোন কোন উপায় প্রস্তাব করেন তার ওপর। অপরদিকে, রাশিয়ার সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করার জন্য উত্তর সাগরে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন ব্রিটিশ নৌবাহিনী এই পদক্ষেপ নিল। ব্রিটেনের দৈনিক টেলিগ্রাফ পত্রিকা এক রিপোর্টে জানিয়েছে, এইচএমএস ওয়েস্টমিনিস্টার ফ্রিগেট বর্তমানে উত্তর সাগরের শেটল্যান্ড দ্বীপে উচ্চ পর্যায়ে প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান করছে। টেলিগ্রাফ পত্রিকার খবর অনুযায়ী- এই ফ্রিগেটটি ২০১৪ সালে আপগ্রেড করা হয় এবং এতে ভ‚মি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। জাহাজটি উত্তর সাগরে রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ এবং সাবমেরিনের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ শেষে আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে ফিরবে। ব্রিটিশ সামরিক বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হ্যাপি দেশটির গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, উত্তর সাগর এবং আর্কটিক এলাকা ব্রিটেনের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, স্কান্ডেনেভিয়ান কয়েকটি দেশের জন্য একইভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে এই যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের অর্থ হচ্ছে মিত্রদেরকে এই বার্তা দেয়া যে, বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে ব্রিটেন সেখানকার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কাজ করবে। এএফপি, রোশিয়া১টিভি, টেলিগ্রাফ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ