গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন ও সহজলভ্যতার ফলে শিশু-কিশোররা এ ধরণের খাবারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ পরিবেশ না থাকায় বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কার্যক্রমের অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় অস্বাস্থ্যকর খাবারের সহজলভ্যতা বন্ধ এবং হেঁটে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ।
আজ (সোমবার) এ্যাস্ট্রাজেনেকা, রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কৈবর্ত সভাকক্ষে ‘অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে অভিভাবকদের ভ‚মিকা’ শীর্ষক মতবিবিময় সভায় অভিভাবকগণ এ দাবি জানান।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী’র সভাপতিত্বে ও সিনিয়ির প্রজেক্ট অফিসার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প কর্মকর্তা নাঈমা আকতার। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তাহাজ্জোত হোসেন, মোহাম্মদ শেখ আলাউদ্দিন, রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক শাহানাজ আক্তার, কল্পনা রানী রায়, মো সোয়াইব খান পলাশসহ আরো অনেকে।
সভায় বক্তারা বলেন, বিশে^ প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো বিভিন্ন রকম অসংক্রামক রোগ। সারা বিশে^র মতো বাংলাদেশেও অসংক্রামক রোগের ভয়াবহতা বেড়েছে বহুগুণে। এর অন্যতম কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে ছোটবেলা থেকেই খেলাধূলা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্কের অভাবে শিশু-কিশোররা খেলাধূলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবারের অনিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞাপন প্রচারের ফলে তারা এ ধরণের খাবারে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে।
বক্তারা আরো বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের কল্যাণ বিবেচনায় আমাদের এখন থেকেই অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সচেতন হতে হবে। কোমল পানীয়, ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, প্যাকেটজাত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার অর্থাৎ শাকসবজি-তাজা ফলমূল ইত্যাদি গ্রহণ করতে হবে। স্বল্প দূরত্বে হেঁটে যাতায়াতের মাধ্যমে সহজেই কায়িক পরিশ্রমের চাহিদা পূরণ সম্ভব। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াতে উৎসাহী করা হলে একদিকে যেমন তাদের কায়িক পরিশ্রম হবে, তেমনি সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি গাড়ির ব্যবহার কমে গিয়ে বায়ুদূষণও হ্রাস পাবে।
অভিভাবকগণ বলেন, আমরা চাই, আমাদের সন্তানদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে উঠুক। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের সহজলভ্যতার ফলে তারা অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। আমাদের সন্তানেরা মূলত হেঁটেই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু ভাঙ্গাচোড়া রাস্তা, গাড়ির গতি, রাস্তা পারাপারের সুব্যবস্থা না থাকা, ইভটিজিং ইত্যাদি কারণে তারা হেঁটে যাতায়াতে সমস্যার মুখোমুখি হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের সহজলভ্যতা বন্ধ করুন এবং হেঁটে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।