গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, রোববার চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। এই নির্বাচনে কি পরিমান সন্ত্রাস, মারামারি হতে পারে, কি পরিমান মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে আপনারা দেখেছেন। বর্তমান সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধবংস করে দিয়েছে। এটা পরিস্কার যে, এই সরকারের অধীনে গণতন্ত্র আসবে না, সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরে আসবে না। এরকম অবস্থা থাকলে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে না।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে মানবাধিকার ইস্যু এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সারোয়ার হক মজুমদার শিমুল।
নির্বাচনে সহিংসতার প্রসঙ্গে টেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এ থেকে উত্তরণে সরকার পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, এই সরকার নিজের অপকর্মের ভারে পতনের মুখে। এখন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশপ্রেমিক সকল শক্তির মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য সৃষ্টি করে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকারে এতোদিন থাকার পরে নিজেরও একটা ভার আছে সেই ভারে আজকে পতনের মুখে, আন্তর্জাতিকভাবেও কিন্তু তারা যে চাপে আছে তাতেও পতনের মুখে। এখন আমাদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা ধাক্কা দেয়া বাকী। সেই ধাক্কাটা দিতে আসুন সকলে সংগঠিত হই। এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা এই ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও সরকারের দমনপীড়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশকে একটি নিকৃষ্ট স্বৈরশাসকের দেশ হিসেবে তারা চিহ্নিত করছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, দুঃখজনক। মুক্তিযুদ্ধের যে আকাক্সক্ষা ছিলো একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, সাম্যের বাংলাদেশ-এটা আজ ভুলন্ঠিত হয়ে গেছে। এই সরকার আমাদের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, অতীতেও তারা একই কাজ করেছিলো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সব কিছুকে তারা শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য ধবংস করে দিয়েছে। যেখানে গণতন্ত্র থাকে না, সেখানে মানবাধিকারও থাকে না। আজকে আমেরিকার মতো দেশও বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই বলে একটা রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং আমাদের এই সংস্থার উচ্চতর কর্মকর্তাদেরকে নিষেধাজ্ঞার অধীনে এনেছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার নেই এটা বাংলাদেশের মানুষের বলার আর দরকার হয় না, সারা বিশ্ব আজকে আমাদেরকে এই তকমাটা দিয়ে দিয়েছে। অসুস্থ খালেদা জিয়ার ওপরে সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে এর কঠোর সমালোচনা করেন খন্দকার মোশাররফ।
সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামুসজ্জামান দুদু, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।