পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আপন মামার নির্বাচনে এসে প্রতিপক্ষের হামলায় অস্ত্রের আঘাতে ডান হাতের ২টি আঙ্গুল কেটে গেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর। গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের গাংকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলার শিকার হন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ইউপি নির্বাচনে ইশিবপুর ইউনিয়নে গোলাম রাব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। নির্বাচনে মামার পক্ষে বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ চলাকালে ৭নং ওয়ার্ডের গাংকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষ মোশারফ মোল্লার লোকজন ভোট কেটে নেয়ার চেষ্টা করছে। এ খবর শুনে গোলাম রাব্বানী সেখানে গেলে মোশারফ মোল্লার ছেলে তার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে গোলাম রাব্বানীকে ছুরি দিয়ে কোপ দেয়। এসময় রাব্বানী ফিরাতে গেলে তার ডান হাতের দুইটি আঙ্গুল কেটে যায়। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুদ্ধ ঘটনায় উভয়পক্ষের আরো ৫ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা গোলাম রাব্বানীসহ আহতদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে রাব্বানীর হাতে সেলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে মোশারফ মোল্লার লোকজন প্রকাশ্যে ভোট নেয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে আমিসহ কিছু লোক গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে আমাকে অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। সেটি ঠেকাতে গিয়ে হাত কেটে যায়। পরে তাদের লোকজন আমাদের হাতে শারীরিকভাবে আহত হয়। এ ঘটনার বিচার হওয়া উচিত। বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করবো।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, কেন্দ্রের ভেতর তেমন কোন কিছু হয়নি। কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ভোট সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে হয়েছে। কোন জাল ভোট বা ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটেনি। বাইরে কিছু হলে সেটা তো আমার দেখার বিষয় না।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. সাদিক বলেন, নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। আমি এখনো রাব্বানীর উপর হামলার কথা শুনিনি। তবে টুকটাক ঘটনা তো ঘটছেই। থানায় অভিযোগ দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।