রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে এক প্রভাবশালী তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের দিয়ে নিরীহ ব্যক্তির নামীয় প্লট জবরদখল নিতে পাকা দেয়াল ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, প্রভাবশালী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন ওই নিরীহ ব্যক্তির কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও অব্যাহত মামলা-হামলার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্লটের প্রকৃত মালিক। নামী-দামি একটি ভার্সিটির সহকারী রেজিস্ট্রার হওয়ার সুবাদে ওই প্রভাবশালী অনেক উচ্চপদস্থ লোকজনের সাথে পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে অনৈতিক পথে এই প্লটখেকো অন্যজনের প্লট কৌশলে আর পেশিশক্তি দিয়ে নিজের করে নিচ্ছেন। সেই প্রভাবশালী নানা ছলচাতুরি, জোরপূর্বক ও কায়দাকানুন করে পূর্বাচলে প্লটের মালিক বনে গেছেন। প্লটের মালিক আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, ওই সহকারী রেজিস্ট্রার ও তার সহযোগী এক মেম্বার ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই তার ও পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৯ কাঠার প্লট জবরদখলের পাঁয়তারা করে আসছে। প্লট জবরদখল করতে না দেয়ায় বেশ কয়েকদিন আগে খোরশেদ আলমের নির্দেশক্রমে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ওই প্লটের পাকা দেয়াল ভেঙে দেয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নানা ছলচাতুরি, জোরপূর্বক ও কায়দাকানুন করে পূর্বাচলের ৯ নম্বর সেক্টরের ১০৭ নম্বর রাস্তার ২৭ নম্বর প্লটের মালিক হয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার খোরশেদ আলম। তার নিয়োজিত বাহিনী প্লটের মূল মালিককে মামলা, হামলাসহ নানাভাবে হেনস্তা করে নামমাত্র দামে পূর্বাচলের সেই প্লট বিক্রিতে বাধ্য করেন। এ কারণে মাত্র ২৫ লাখ টাকায় কোটি টাকার প্লটের মালিক বনে গেছেন খোরশেদ আলম। জোরপূর্বক প্লটের মালিক হওয়ার পর থেকে তাকে যেন প্লটের নেশা পেয়ে বসেছে। এরপর তিনি আরো প্লট হাতিয়ে নেয়ার ধান্দায় হাত মেলান পূর্বাচলের চিহ্নিত দালাল ও জাল-জালিয়াতির কারিগর ওসমান গনির সাথে। তারপর থেকে উভয়ে হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্লটখেকো খোরশেদ এখন ৯ নম্বর সেক্টরের ১০৭ নম্বর রাস্তার ২৭ নম্বর প্লটের পাশের ২৯ নম্বর প্লটটি দখলে নিতে নানা ফন্দিফিকির করছেন। প্লটের বরাদ্দ গ্রহীতার নিযুক্ত আমমোক্তার দীন ইসলাম ও তার ভাই আনোয়ার হোসেনের নামে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করছেন। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, প্লটটি খালি থাকায় ৯ নম্বর সেক্টরের ১০৭ নম্বর রাস্তার ২৯ নম্বর প্লটটি এ বছরের শুরুর দিকে হাসনা বেগমের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী প্লটটির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিযুক্ত হন দীন ইসলাম। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়োগ পাওয়ার পর দীন ইসলাম রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী দখল ও লিজ দলিলের কাজ শেষ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্লটখেকো খোরশেদ উঠেপড়ে লেগে যান। রূপগঞ্জ থানায় নিজে প্লটের মালিক সেজে উভয় ভাতৃদ্বয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিতে থাকেন। নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তরে দখল সংক্রান্ত মামলাও করেন। এদিকে থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় খোরশেদের অভিযোগ বাতিল করে দেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসনা বেগমের নিযুক্ত আমমোক্তার দীন ইসলাম বলেন, রেজিস্ট্রারের কর্মকা-ে আমি ভীত। বড় ইউনিভার্সিটির নাম ভাঙিয়ে তিনি আমার কোনো ক্ষতি করতে পারেন। এ কারণে সাবধানে চলাফেরা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।