Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনপ্রিয়তার শীর্ষে কে-ড্রামা সিরিজ ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং অন ইউ’

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:৫০ পিএম

দক্ষিণ কোরিয়ার ফিল্ম আর টিভি সিরিজগুলো দেশটির সীমান্ত ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। তারই প্রমাণ দক্ষিণ কোরিয়ার রোমান্স ড্রামা সিরিজ ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং অন ইউ’।
এই সিরিজের একটি অংশের শুটিং হয়েছিল আল্পস উপত্যকার ছোট গ্রাম আইসেল্টওয়াল্ডে। সিরিজের ভক্ত দর্শকরা এখন এই এলাকায় শুধু সিরিজের জনপ্রিয়তাকে উপজীব্য করে বেড়াতে আসে।
এই সিরিজের কাহিনী এক ধনশালী পরিবারের উত্তরাধিকারী এক তরুণীকে নিয়ে। সে প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনাক্রমে প্রতিপক্ষ দেশ উত্তর কোরিয়ায় নেমে পড়ে। সেখানে এক সেনা সদস্যের প্রেমে পড়ে যায় সে।
উত্তর কোরিয়াতে শুটি করা সম্ভব নয় বলে সুইজারল্যান্ডে তার বেশির ভাগ করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ড এমনিতেই পর্যটকদের বড় আকর্ষণ হলেও শুধু ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং অন ইউ’ সিরিজটির লোকেশনগুলো দেখবার জন্য ভক্ত দর্শকরা স্পটগুলোতে ভিড় করছে।
সবচেয়ে ভিড় হচ্ছে গল্পের নায়িকা প্যারাসুটে করে ঠিক যেই জায়গাটিতে নেমেছিল। তারা এখানে এসে অন্তত একটি ছবি তুলে নিচ্ছে। অনেকে জায়গাটি সঠিক কিনা জানতে এমনটি ড্রোন ক্যামেরারও সাহায্য নিচ্ছে।
ইয়ানিয়া সাইফারম্যান নামের এক জার্মান দর্শক বলেন, “অত্যন্ত সুন্দর এক প্রেমের গল্প এই ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং অন ইউ’, যেখানে দুজন বিপরীত জগতের মানুষের ভালবাসা হয়। আমার মনে হয় এটি মন ভাল করার মত একটি গল্প।”
উল্লিখিত স্থানটির একটু দূরেই হোটেল শ্যাতো দ্যু লাক। হঠাৎ করেই এখানে অতিথিদের সমাগম বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
লন্ডনবাসী নানা চিয়াং শুধু সিরিজটি দেখার পরই সেখান থেকে আইসেল্টওয়াল্ড এসেছেন: ভ্রমণ করেছেন পাশের গ্রিন্ডেলওয়াল্ড পর্বতাঞ্চল।
“আমি আর আমার প্রেমিক সিরিজটির ভক্ত তাই এটি যেখানে শুট হয়েছে সেখানে ছবি তুলতে এসেছি,” চিয়াঙ বলেন, “সামনাসামনি এই দৃশ্য দেখা আসলেই রোমাঞ্চকর।”
“আমি কে-ড্রামার দর্শক, তবে ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং অন ইউ’র কারণে আমি এর এই ধারার ভক্ত হয়ে পড়েছি। কোভিডের কারণে একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।” তিনি জানান তাইওয়ানে তার পরিবারের সদস্যরাও সিরিজটি দেখে এবং এটি নিয়ে তাদের সঙ্গে তার আলাপ হয়।
দক্ষিণ কোরিয়াতে ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং অন ইউ’র দর্শকের সংখ্যা মোট দর্শকের ২৪ শতাংশ। আর সারা বিশ্বে দর্শক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি, তবে তা যে বিপুল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চীনসহ বিভিন্ন দেশের স্ট্রিমিং চ্যানেলগুলো এটি দেখাচ্ছে। নেটফ্লিক্সেও সিরিজটি স্ট্রিমিং হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ