Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নতুন বিমান হামলায় থাইল্যান্ডে পালিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত থাই সীমান্তবর্তী এলাকায় আরো বিমান হামলা চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নতুন করে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলা ও ভারী গোলাবর্ষণের মুখে পালিয়ে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। শুক্রবার বিদ্রোহীদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এসব হামলার জেরে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে আরো হাজার হাজার মানুষ। দেশটির থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী কারেন প্রদেশে সপ্তাহখানেক ধরে চলা সংঘর্ষের কারণে ভিনদেশ পালাতে বাধ্য হয়েছেন তারা। মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে থাই সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী অন্তত দুইটি বিমান হামলা ছাড়াও বেশ কিছু গোলাবর্ষণ করেছে। শুক্রবার লে কায় কাও শহরে আবার বিমান হামলা চালিয়েছে তারা। থাই সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের শহরে ছিলেন রয়টার্সের প্রতিবাদিক মায়ে সোত। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তিনি। এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের মুখপাত্র। থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য মতে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও কেএনইউর মধ্যে গত সপ্তাহে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর পর থেকে ওই অঞ্চলের চার হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। তবে নাগরিক সংগঠনগুলো এর সংখ্যা ১০ হাজারের মতো বলে দাবি করছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে কারেন যোদ্ধারা জাতিসঙ্ঘের কাছে লে কায় কাও এলাকাকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। জান্তার বিমান হামলা ঠেকাতে এই পদক্ষেপ জরুরি বলে দাবি করেছে তারা। সেন্টার ফর হিউম্যানিটেরিয়ান ডায়লগের এশিয়া ডিরেক্টর মাইকেল ভাটিকিওটিস আল-জাজিরাকে বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটিকে স্থিতিশীল করতে পারেনি, শক্ত প্রতিরোধও দুর্বল করতে ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারে আন্তঃসীমান্ত সাহায্য দেয়ার জন্য থাইল্যান্ড আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই ধরে নিতে হবে এই সমস্যা আরো খারাপ হবে এবং থাইল্যান্ড এসব মানুষকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করবে। থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানি সাংগ্রাট শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিয়ানমারে সা¤প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এটি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী থাই জনগণের ওপরও প্রভাব ফেলছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর পর থেকেই দেশটিতে অস্থিরতা চলছে। ব্যাপক বিক্ষোভের পাশাপাশি জান্তাবিরোধী গ্রæপগুলো নিয়মিতভাবে সেনাবাহিনীর সাথে সংঘাতে জড়াচ্ছে। কেএনইউ মুখপাত্র সাও টাও নি বলেন, নতুন বিমান হামলার পর আরো বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। ওই এলাকায় ‘নো ফ্লাই’ ঘোষণা করতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি আহŸান জানান তিনি। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানে সাংরাত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কারেন প্রদেশে নতুন সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগে আছে ব্যাংকক। এই হামলা থাই জনগণের ওপর প্রভাব ফেলছে। রয়টার্স, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ