মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রচলিত ধারার থেকে ভিন্ন রুচির মানুষকে প্রায়ই অনেক কটু কথা শুনতে হয়৷ পুরুষ হয়েও নারীর পোশাক পরার কারণে তীর্যক মন্তব্য উপেক্ষা করে এক ব্যক্তি নিজেকে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন৷
হাই-হিল জুতো, টাইট স্কার্ট ও টাই – এটাই মার্ক ব্রায়ানের সবচেয়ে পছন্দের সাজ৷ তার কাছে এমন পরিধান অত্যন্ত স্বাভাবিক৷ তাঁর মতে, তিনি হাইহিল জুতো পরেন, কারণ তার সেটা ভালো লাগে৷ তাছাড়া এগুলি খুবই স্টাইলিশ, পায়ের বাহার বাড়িয়ে দেয়৷
মার্কিন এই ইনফ্লুয়েন্সারের কাছে পোশাক-পরিচ্ছদের কোনো লিঙ্গ নেই৷ সেই উপলব্ধি ও তার আত্মবিশ্বাসী মনোভাব মডেল হিসেবে তার চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তেই তাকে শুটিংয়ের জন্য দূরে কোথাও যেতে হয়৷ যেমন ডেনমার্কের এক নারী বিষয়ক পত্রিকার মডেল হিসেবে তিনি বার্লিনে এসেছেন৷ তার বয়স কিন্তু ৬১ বছর! মার্ক বলেন, ‘‘আমি তিনটি ভোগ ম্যাগাজিন ও ইন্টারভিউ ম্যাগাজিনে স্থান পাবো, আগে এ কথা বললে আমি বলতাম আপনি পাগল৷ কোনো সম্ভাবনাই ছিল না৷''
২০২০ সালে তিনি ইন্টারনেটে নিজের ছবি পোস্ট করা শুরু করেন৷ সে সময়ে তেমন সাফল্য আসেনি৷ আজ ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে৷ প্রায় প্রতিদিনই তিনি নিজের কোনো পছন্দের পোশাক পোস্ট করেন৷ মার্ক বলেন, ‘‘এই বয়সে ইনফ্লুয়েন্সর হবার অভিজ্ঞতা এখনো হজম করছি৷ আমার জনপ্রিয়তা ও এত তরুণ ফলোয়ার সত্যি আত্মতৃপ্তির কারণ৷ মানুষের ভয় কাটানো ও পছন্দের পোশাক সম্পর্কে লজ্জা দূর করতে সাহায্য করাই ইনফ্লুয়েন্সরের কাজ হওয়া উচিত৷''
দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্ক জার্মানির দক্ষিণে ছোট একটি শহরে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বাস করছেন৷ কলেজে পড়ার সময়েই তিনি হাইহিল জুতো পছন্দ করতেন৷ তবে পাঁচ বছর আগে তিনি দৈনন্দিন জীবনেও নারীর পোশাক পরার সিদ্ধান্ত নেন৷ মার্ক ব্রায়ান জোর দিয়ে বলেন, ‘‘আমি ফেমিনিন বা মেয়েলি হবার বা নারী হিসেবে বিবেচিত হবার চেষ্টা করছি না৷ পুরুষ হিসেবেই আমি শুধু পছন্দের পোশাক পরতে চেয়েছিলাম৷ আমি সেটাকে নিজের হাইব্রিড স্টাইল বলি৷ আমি পুরুষালি ও মেয়েলি স্টাইলের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাই৷''
মার্ক পেশায় মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার৷ তিনি টেস্কাসে জন্মগ্রহণ করেন৷ প্রতিদিন তিনি ট্রেনে করে কাজে যান৷ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মই তার ক্যাটওয়াকের ক্ষেত্র হয়ে ওঠে৷ মানুষের কৌতূহলী দৃষ্টি বা তির্যক মন্তব্যে তাঁর কিছু যায় আসে না৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি যে আত্মবিশ্বাস দেখাই, তার ফলেই হয়তো বেশিরভাগ মানুষ আমাকে বিরক্ত করে না৷ আমার ধারণা, দুর্বলতা দেখালেই মানুষ আক্রমণ করে থাকে৷ আমি মোটেই দুর্বলতা দেখাই না৷ তাই সাবধান!''
মার্ক নিজেকে কোনো বাঁধাধরা ছকে ফেলতে চান না৷ অনেকে ভাবেন, তার যৌন অভিমুখীতা বোধহয় ভিন্ন৷ সে কথা শুনে তিনি শুধু মুচকি হাসেন৷ তার মতে, সবারই নিজস্ব মতামতের অধিকার রয়েছে৷ তিনি তর্ক করে সংশোধন করেন না৷ পোশাক-পরিচ্ছদ মোটেই যৌন অভিমুখীতা নির্ণয় করে না বলে তিনি মনে করেন৷ পুরোটাই আসলে রুচির উপর নির্ভর করে৷ সে বিষয়ে তর্কের কোনো অবকাশ থাকতে পারে না৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।