মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বজুড়ে সরবরাহ ব্যবস্থায় মারাত্মক সংকট তৈরি করেছে করোনাভাইরাস মহামারি। মালামাল পরিবহনের খরচ রীতিমতো আকাশ ছুঁয়েছে। নেপালের মতো ছোট অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য এই সংকট আরও তীব্র। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, পরিবহন খরচ বাড়ায় দেশটিতে পণ্যের আমদানি খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি বিদেশগামী কার্গো খরচ বেড়েছে প্রায় আটগুণ। নেপাল ফরেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল কুমার ধানুকা (বানসাল) নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টকে জানিয়েছেন, মহামারির আগে চীন থেকে নেপালে একটি ২০ ফুটের কন্টেইনার পাঠাতে ১ হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার মার্কিন ডলার খরচ হতো এবং ৪০ ফুটের কন্টেইনারের জন্য খরচ ছিল ২ হাজার ৮০০ ডলার। কিন্তু এখন চীন থেকে নেপালে একেকটি ২০ ফুটের কন্টেইনার পাঠাতে খরচ হচ্ছে ছয় হাজার থেকে সাড়ে ছয় হাজার ডলার এবং ৪০ ফুটের কন্টেইনারের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১১ হাজার ৫০০ ডলার। সুনীল বলেন, শিপিং খরচ বৃদ্ধি অবশ্যই পণ্যের দামে সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাছাড়া ডলারের মান বাড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্যের দামও বেড়ে যায়, এর সঙ্গে যোগ হয় বাড়তি পরিবহন খরচ। মাল পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়া মানে ব্যবসায়ীদের জন্য পণ্যের মূল্য অন্তত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি হওয়া। তিনি জানান, নেপালি রুপির বিপরীতে ডলারের মান বাড়ছে। সম্প্রতি এর বিনিময় হার ১২৩ রুপিতে পৌঁছাতে দেখা গেছে। নেপালের এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, মালের খরচ এবং ডলারের দাম বাড়ার কারণে রপ্তানিকারক-আমদানিকারক উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারল্য সংকট এবং ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছে। নেপালের রাজস্ব বিভাগের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশটি ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি রুপির পণ্য আমদানি করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় রেকর্ড ২৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। বেড়েছে রপ্তানিও। আগের বছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে নেপালের পণ্য রপ্তানি ৪৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে ১৪ হাজার ১১২ কোটিতে পৌঁছেছে। তবে, সমস্যা শুধু পরিবহনের খরচ বৃদ্ধিই নয়, কন্টেইনার হাতে পেতে ব্যবসায়ীদের ২৫ দিনের বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সুনীল কুমার ধানুকা। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে ওমিক্রন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, প্রতিবেশী ভারতেও একই অবস্থা। এর ফলে মহামারির প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো এবারও সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা ওমিক্রনের প্রভাব টের পেতে শুরু করেছি। কাঠমান্ডু পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।