মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের কলকাতায় দুই রাজমিস্ত্রির হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া দুই বধূর ঠাঁই হল না শ্বশুরবাড়িতেও। হাওড়ার নিশ্চিন্দার কর্মকার পরিবার ঘর ছেড়ে প্রেমিকদের হাত ধরে চলে যাওয়া দুই বধূকে আপাতত ফিরিয়ে নিল না শ্বশুর পক্ষ। অন্য দিকে, তাদের দুই প্রেমিককে বৃহস্পতিবারই ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। দুই বধূর সঙ্গে যাওয়া শিশুটিকে আদালত তার বাবার হাতে তুলে দিয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। বৃহস্পতিবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন ওই দুই বধূ। এরপর বিকাল সাড়ে পাঁচটায় তাদের নিয়ে আসা হয় নিশ্চিন্দা থানায়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকেন তারা। এরপর বাপের বাড়িতে ফিরে যান ওই দুই তরুণী। দুই রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভজিৎ দাসের হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিলেন বালির নিশ্চিন্দার কর্মকার পরিবারের দুই বধূ অনন্যা এবং রিয়া। বুধবার তাদের চার জনকেই আসানসোল স্টেশনে মুম্বাই মেল থেকে গ্রেফতার করে জিআরপি এবং নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। ঘর ছেড়ে পালানোর সময় রিয়ার সঙ্গে ছিল তার সন্তান আয়ুষ। তাকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে শেখর এবং শুভজিতের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ওই দু’জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আয়ুষের চাচা পলাশ কর্মকার বলেন, বাচ্চাকে ফেরত পেয়েছি। তবে এখন আমরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। ওদের দু’জনকে (অনন্যা এবং রিয়া) ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি-না, সেব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। কর্মকারের পরিবারের এই বক্তব্যের পর, আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হতেই অনন্যা এবং রিয়া এখন কোথায় থাকবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তদন্তকারীদের সূত্রে আরো জানা গেছে, ট্রেনে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেয়ার পর পুলিশকে অনন্যা এ-ও বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিলাম। কেউ জোর করে নিয়ে যায়নি।’ তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গেছে, সেই সময় কর্মকার পরিবারের ছোট বউ রিয়া চুপ ছিলেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, অনন্যা এবং রিয়ার ঘর ছাড়ার উদ্দেশ্য ছিল, শেখর এবং শুভজিতের সাথে নতুন করে সংসার শুরু করা। তারা স্থির করেছিলেন, নিজেদের পছন্দমতো বিয়ে করে সংসার পাতবেন। কিন্তু মুর্শিদাবাদে শেখর এবং শুভজিতের বাড়ির লোকজন সেই বিয়েতে আপত্তি জানান। অনন্যা এবং রিয়া বিবাহিত হওয়ায় শেখর এবং শুভজিতের পরিবার মেনে নেয়নি। তাই তারা চারজন মিলে রাজ্য ছাড়েন। যান মুম্বাইয়ে এক পরিচিতের কাছে। তবে টাকাপয়সা শেষ হয়ে যাওয়ায় ফের এ রাজ্যে ফিরতে হয় তাদের। পুলিশ মনে করছে, এই সময়ের মধ্যে বাড়ির লোকজনকে বিয়েতে কোনোক্রমে রাজি করিয়েছিলেন শেখর এবং শুভজিৎ। তাই মুম্বাই সফর শেষ করে তারা রাজ্যে ফেরার পরিকল্পনা করেন। পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুষকে ভালোবাসতেন শেখর এবং শুভজিৎ। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।