পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর ‘বড়দিন’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করি।
আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকলে মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। তাই এই দেশ আমাদের সকলের। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। ‘বড়দিন’ উপলক্ষে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এ দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যিশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। মহামতি যিশু বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে এবারের বড়দিন উৎসব উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেশ ও জাতি তথা বিশ্ববাসীকে এই মহামারি থেকে যেন মুক্তি দেন- এ প্রার্থনা করি। প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সকলে মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।