Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্ন বিদ্ধ

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:৫১ এএম

এবার সপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

৩ যুবক মিলে কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে তুলে নিয়ে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ও হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে দুবার সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে বলে জানান ওই গৃহবধূ।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামের হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করে র‍্যাব ১৫।

ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করে জানান, ‘বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে এসে শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে উঠেন তারা। সেখান থেকে বিকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ঘুরতে বের হলে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে।
পরে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় স্টেডিয়াম সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।

এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় গৃহবধূকে তুলে নেয় ৩ যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ওই ৩ জন। সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানেও আরেক দফা তাকে গণধর্ষণ করে যুবকগুলো। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।

গৃহবধূ আরো জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তা কক্ষের দরজা খুলে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়।

তারপর পাশের একজনের সহযোগিতায় কল দেন র‌্যাব-১৫ কে। তারা এসে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পর্যটন গলফ মাঠের এলাকা থেকে তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, সামান্য ধাক্কা লাগার কারণে তারা আমাকে এভাবে ক্ষতি করবে তা কল্পনাও করিনি। শহর অপরিচিত তাই জায়গা ও তাদের চিনতে পারিনি। তাদেরকে বার বার হাতে-পায়ে ধরলেও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধী বলে জানান তিনি।

এদিকে পর্যটকদের নিয়ে কিছু ব্যবসায়ীদের গলাকাটা বাণিজ্য ও গতকাল বখাটেদের হাতে পর্যটক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে কক্সবাজার জেলা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণধর্ষণ

১৯ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ