Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাঙরখেকো সিল!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

লেপার্ড সিল তুলনামূলক ছোট প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে বলে এত দিন প্রমাণ ছিল। কিন্তু এখন গবেষকেরা বলছেন, প্রাণীটি হাঙর ধরে খায়। এক গবেষণায় প্রথমবারের মতো এমন তথ্য পেয়েছেন তারা। দুই প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের গবেষক ও বিজ্ঞানীরা ওই গবেষণা করেন। গবেষণাটি করতে তারা লেপার্ড সিলের শিকারের অভ্যাস ও মল পরীক্ষা করে দেখেন। এতে তারা সিলের শরীরে হাঙরের সঙ্গে শক্তি দিয়ে লড়াই করার প্রমাণ পান। একই সঙ্গে সিলের মলে হাঙরের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।

গবেষণার লেখকদের একজন লেপার্ড সিলস ডটওআরজির গবেষক ক্রিস্টি ভন ডার লিন্ডা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘সিলের খাবারের তালিকায় হাঙর থাকার প্রমাণ পাওয়ার পর আমরা সত্যিই অবাক হয়েছি। লেপার্ড সিলের এলিফ্যান্ট ফিশ (বড় মুখবিশিষ্ট মাছ) ও ঘোস্ট শার্ককে (বিশেষ প্রজাতির হাঙর) শিকার করার প্রমাণও আমরা পেয়েছি।’ ক্রিস্টি আরও বলেন, এসব সামুদ্রিক মাছের বড় বড় কাঁটা রয়েছে, যা সেগুলোকে শিকারিদের থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। যখন এগুলো শিকার করতে যায় লেপার্ড সিল, তখন নিশ্চিতভাবে সিলগুলোর শরীরের বিভিন্ন স্থানে অনেক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এমনকি কখনো কখনো সেগুলোর মুখেও মাছের বড় কাঁটা বিদ্ধ হয়ে থাকতে দেখা গেছে। একটি লেপার্ড সিলের শরীরে অন্তত ১৪টি ক্ষত ছিল।

লেপার্ড সিলকে শীর্ষ শিকারি প্রাণীদের একটি ভাবা হয়। খাবারের জন্য লেপার্ড সিল মূলত ক্রাস্টেসিয়ান, ছোট মাছ, পাখি, অন্যান্য সিলসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী শিকার করে থাকে। এই প্রাণীর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে এর আগে অনেক গবেষণা হলেও সেখানে হাঙর ধরে খাওয়ার প্রমাণ পাননি গবেষকেরা। বিস্তৃত একটি গবেষণার অংশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডে লেপার্ড সিলের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে গবেষণা করা হয়। গবেষকেরা ৩৯টি শিকারের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন এবং ১৯৪২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১২৭টি নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেন।

সমুদ্রে একটি শীর্ষস্থানীয় শিকারি প্রাণীর সঙ্গে আরেকটি শীর্ষস্থানীয় শিকারি প্রাণীর লড়াই সব সময়ই থাকে। ফলে সেগুলো একে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টায় থাকে। এই বিষয়ে ক্রিস্টি বলেছেন, ‘একটি শীর্ষস্থানীয় শিকারি প্রাণী আরেকটি শীর্ষস্থানীয় শিকারি প্রাণীকে খাওয়ার জন্য শিকার করার ঘটনা বেশ বিস্ময়ের। যদি লেপার্ড সিল হাঙর শিকার ও খাওয়ার অভ্যাস ধরে রাখে, তাহলে একসময় হাঙরের সংখ্যা কমে যেতে পারে।’ সূত্র : দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ