Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দাস প্রথা চালু করেছে ছাত্রলীগ

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দাস প্রথা চালু করেছে মন্তব্য করে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ২০ বছরের রাজত্বে ছাত্রলীগ প্রায় দুই হাজার অপকর্ম করেছে। কিন্তু যারা ছাত্রলীগ করেছে এমন ২০ জনকেও তারা দেখাতে পারবে না যারা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পেরেছে। এরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দাস প্রথা চালু করেছে। তাদের মিছিল-মিটিং না করলে হলে থাকা যায় না। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর মেনে নেয়া যায় না।

গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া এক বিক্ষোভ-সমাবেশে ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে নুর এসব কথা বলেন।
২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের বর্বর হামলার বিচারহীনতা ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এ সমাবেশ ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

ডাকসুর সদ্য সাবেক এই ভিপি বলেন, ভারতের এনআরসির বিরুদ্ধে যখন সেখানকার অসা¤প্রদায়িক মানুষের একটা অংশ প্রতিবাদ করেছে তখন তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সারা বিশ্বের ন্যায় আমরাও রাজু ভাস্কর্য থেকে একটা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। সেদিন ছাত্রলীগের মদদপুষ্ট তথাকথিত এই মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আমাদের উপর হামলা করেছিল। ২২ ডিসেম্বর আমাদের কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। আমি আমার সহযোদ্ধাদের নিয়ে সেদিন অফিসে এসেছিলাম। আমি বুঝতে পারিনি কি থেকে কি হয়ে গেল তাৎক্ষণিকভাবে। সনজিত ও সাদ্দাম রুমে ঢুকল এবং তাদের পেছনে ভেড়ার পালের মতো বিশাল বহর ছিল। তারা এক একটা ছেলেকে মেরে সিঁড়ি দিয়ে ফেলে দিচ্ছে। তারা লাইট বন্ধ করে দিয়ে আমাদের পিটিয়েছে। তখন আমি প্রক্টর,ভিসিকে ফোন দিয়েছিলাম। সেসময় কেউ আমার ফোন ধরেনি। সরকারের উচ্চমহল থেকে আশ্বাস পেলেও সেই হামলার বিচার আমরা পাইনি। এসময় এটা কোনো সাধারণ ঘটনা ছিল না উল্লেখ করে নুর বলেন, ভারতীয় এজেন্টদের ইন্ধনেই এই হামলা হয়েছিল।

নুর বলেন,মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে তথাকথিত এই ভুঁইফোড় সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে এদেশীয় ভারতীয় দালালরা। তারা নানা ধরনের অঘটন এই সংগঠনকে দিয়ে ঘটাচ্ছে।
দ্রুত ডাকসু নির্বাচন চেয়ে নুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচন হয়, শিক্ষকদের নির্বাচন হয়। সবার প্রতিনিধি থাকে। তাহলে ছাত্রদের আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্ব কেন থাকবে না? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব দ্রæত ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভিপি নুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ