বিশ্বের আকর্ষনীয় যত খেলাধুলা আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বক্সিং৷ তবে ক্রিকেট, ফুটবলের মতো বড় খেলাগুলোর কারণে বক্সিং এখনো তেমনভাবে ডালপালা পেলে মেলে ধরতে পারেনি বাংলাদেশে ৷ তাছাড়া তেমন বড় কোন সাফল্যও এখনো আসেনি। তবে দিন পরিবর্তন হচ্ছে এখন ৷ ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বক্সিংও। আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এ কাজটি করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশনের
সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন।
মাজহারুল ইসলাম ২০১৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশনের
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন ৷ সে সময় তিনি হারান তৎকালীন
সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস খানকে। মাজহারুল ইসলাম ভিক্টেরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি নিজে অবশ্য ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন ফুটবলার। পরবর্তীতে হন ফুটবল সংঘটক। পেশা হিসেবে বা নিয়মিত বক্মিং না করলেও, এটির প্রতি আগ্রহ ছিল তার। আর তাই তো ধীরে ধীরে দেশের বক্সিংয়ের দিকে ঝুঁকেন তিনি৷ এরপর ২০১৮ সালে বক্সিং ফেডারেশনের
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে বক্সিংকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ পান।
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর তুহিন বলেছিলেন, ‘ফুটবলার হলেও বক্সিং আমার প্রিয় খেলা। আমার ক্লাব ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং বক্সিংয়ে অংশগ্রহণ করে অনেক আগে থেকে। আশা করি বক্সিংকে সুন্দর একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে পারব।’
সেই সময় দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিনের প্রচেস্টায় নিয়মিতভাবে বক্সিং প্রতিযোগিতা হচ্ছে। বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে আয়োজন করা হয় প্রতিযোগিতা৷ যেখানে উল্লেখসংখ্যক বক্সাররা অংশ নিয়ে থাকে। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসেও অন্য ফেডারেশনগুলোর মতো বক্সিংয়ে ছিল বিশাল আয়োজন। ওইদিন দেশের সেরা বক্সাররা বিজয় দিবসের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন৷
তাছাড়া নতুন বক্সাররা যেন উঠে আসে এজন্যও নিয়মিত কাজ করছেন তিনি৷ নতুনরাই যে দেশের বক্সিংকে এগিয়ে নিতে পারবে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন মাজহারুল ইসলাম তুহিন৷ আর তাই নতুন ও প্রতিভাবান বক্সার পাওয়ার জন্য ট্যালেন্ট হান্টের ব্যবস্থা করেন। যেখানে বিভিন্ন বক্সিং ক্লাব ও অন্যন্য সংঘটনগুলোর বক্সাররা আসেন। এই ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন বক্সার উঠে এসেছেন৷ তাছাড়া যারা বাইরে থেকেও দেশের বক্সিং নিয়ে ভাবেন বা কাজ করতে চান তাদেরকেও সহায়তা করেন ফেডারেশনের
সাধারণ সম্পাদক।
তাছাড়া তুহিনের পরিকল্পনা রয়েছে একজন অভিজ্ঞ বিদেশী কোচ নিয়ে আসার। বক্সারদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য পেতে ও ভবিষ্যতে অলিম্পকে নিয়মিত হতে তিনি এ উদ্যোগ নিতে চান।