মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘পাতালঘর’ কি শুধু মানুষ বানায়, বানাতে পারে কিংবা তাদেরই বানানোর প্রয়োজন পড়ে? ব্রাজিলের ঘটনা অন্তত তা বলছে না। মাটির নীচে এক অজানা জগৎ রয়েছে সে দেশে। যার কারিগর বা পরিকল্পক আর যে-ই হোক, মানুষ নয়।
অজস্র অদ্ভুত আকৃতির সব সুড়ঙ্গ রয়েছে ব্রাজিলের মাটির নীচে। তবে এই পাতাল জগৎ আড়ালেই ছিল লক্ষাধিক বছর। প্রকাশ্যে আসে ২০০০ সালের পর। এক ভূবিজ্ঞানী তার যাতায়াতের পথে হঠাৎই সন্ধান পান ওই সুড়ঙ্গের। এক একটির দৈর্ঘ্য ২০০০ ফুট। উচ্চতা ৬ ফুটেরও বেশি। আকারে প্রশস্ত এই সুড়ঙ্গগুলিতে ঢোকা বা বেরনোর একাধিক রাস্তা রয়েছে। কোনও কোনও প্রবেশপথ ১৫ ফুটেরও বেশি প্রশস্ত।
রিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেইনরিখ ফ্র্যাঙ্ক সেই ভূবিজ্ঞানী যিনি প্রথম মাটির নীচে ওই সুড়ঙ্গপথ আবিষ্কার করেন। একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির গর্ভে উদ্ধার হওয়া গর্তের আকৃতি প্রকৃতি দেখে ফ্র্যাঙ্কের কৌতূহল হয়। তিনি ঠিক করেন ওই গর্তের ভিতর প্রবেশ করবেন তিনি। তারপরই সুড়ঙ্গ-রহস্যের উদ্ঘাটন।
ফ্র্যাঙ্কের আগে এই ধরনের সুড়ঙ্গ কেউ লক্ষ করেননি, তা নয়। তবে কেউ এগুলিকে গুরুত্ব দেননি। প্রাকৃতিক গুহা বলে ভেবে নেওয়া হয়েছিল সুড়ঙ্গগুলিকে। ফ্র্যাঙ্কই প্রথম জানান, গুহার মতো দেখতে সুড়ঙ্গগুলি প্রাকৃতিক নয়। সেগুলিকে বানানো হয়েছে। তবে যারা বানিয়েছে, তারা মানুষ নয়। ফ্র্যাঙ্ক বলেন, সুড়ঙ্গের ভিতর প্রবেশ করে তিনি দেখেছেন তার দেওয়াল জুড়ে রয়েছে শক্ত নখের আঁচরের দাগ, যা মানুষের হতে পারে না।
এরপর সুড়ঙ্গগুলি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ভূবিজ্ঞানী। জানতে পারেন ব্রাজিলের মাটির নীচে এমন অন্তত হাজার দেড়েক সুড়ঙ্গপথ রয়েছে। আর প্রত্যেকটিরই বৈশিষ্ট্য এক। প্রত্যেকটি সুড়ঙ্গই একাধিক প্রবেশ পথ বিশিষ্ট গুহার মতো। ফ্র্যাঙ্ক তার অভিজ্ঞতা দিয়ে জানান, এই সুড়ঙ্গ কোনও প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর তৈরি করা। সেই প্রাণী ডাইনোসর বা ম্যামথদের সমসাময়িকও হতে পারে।
ফ্র্যাঙ্কের ধারণা, এই প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীটি গ্রাউন্ড শ্লথ হতে পারে, আবার আর্মাডিলো নামের পিপিলিকাভুকও হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, প্রাগৈতিহাসিক যুগে ডাইনোসর বা ম্যামথের মতো প্রাণীরা খোলা আকাশের নীচে থাকত বলেই ধারণা ছিল এতদিন। এই প্রথম জানা গেল, এই সময়ের প্রাণীদের কেউ কেউ ‘ঘর’-এর ব্যবস্থাও করত।
ফ্র্যাঙ্কের মতে, বিষয়টি গবেষণা করার মতো। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে সতর্ক হলে এই প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের তৈরি ঘর সংরক্ষণও করা যাবে। মানুষের তৈরি স্থাপত্যের পাশাপাশি প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর তৈরি ‘ঘর’ দেখার মতো বিষয় হবে বলেই মনে করেন ফ্র্যাঙ্ক। একইসঙ্গে তিনি জানান সতর্ক না হলে নির্মাণ কাজের চাপে ওই সুড়ঙ্গগুলি নষ্ট হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন ভূবিজ্ঞানী। নিজের উদ্যোগেই সংরক্ষণের কাজ শুরুও করেছেন তিনি।
তবে এই প্রক্রিয়ায় তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সময়। ব্রাজিলের মাটির নীচে থাকা প্রায় দেড় হাজার সুড়ঙ্গের প্রত্যেকটির বৈশিষ্ট্য বিচার করা সহজ কাজ নয়। তবে ফ্র্যাঙ্ক জানিয়েছেন, তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং আশা করছেন আরও অনেকে এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেন। সূত্র: লাইভ সায়েন্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।