ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা'কুপে পিএসজি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে তারা জানিয়েছে বর্তমানে ক্লাবটিতে চলছে গৃহদাহ। দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একটি লাতিন আমেরিকা গ্রুপ, আরেকটি ফ্রান্স গ্রুপ। তাছাড়া বেশ কয়েকজন নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা করছেন না। পার্টি নিয়ে মেতে থাকছেন। শঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। সব মিলিয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতিই নাকি বিরাজমান রয়েছে পিএসজিতে!
পিএসজি আগে থেকেই তারকায় ঠাসা দল ছিল। দীর্ঘদিন ধরে খেলছিলেন নেইমার-এমবাপ্পে। এরপর এ মৌসুমে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি ও সার্জিও রামোসের মতো আরো দুই বড় তারকা। আর এখন তারকার ভারে পিএসজি এতটাই ন্যুজ হয়ে গেছে, এটি না-কি এখন ভেঙে যাওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। বর্তমানে চলছে নানান সমস্যা। এর কয়েকটি তুলে ধরেছে লা’কুপে।
দুই ভাগে বিভক্ত দলঃ
বর্তমানে বেশ কতগুলো ঝামেলা চলছে দলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো দুই ভাগে বিভক্ত হওয়া। লা'কুপে বলছে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্থানীয় অর্থাৎ ফ্রান্সের খেলোয়াড়ের মধ্যে একটি দূরত্ব তৈরী হয়েছে। আর এ দলাদলির কারণেও না-কি এমবাপ্পে চান না থাকতে। তিনি তাই নতুন কোন ক্লাব খুঁজছেন৷
নেইমারের আচরণঃ
নেইমারের আচরণ নিয়ে ইতোমধ্যেই কথা উঠেছে। এ মৌসুমের শুরুতে নেইমার তার নতুন দায়িত্ব নিয়ে একটুও আরামে ছিলেন না। তিনি ক্লাবের স্পন্সরদের সঙ্গে হওয়া চুক্তির একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। যেখানে উপস্থিত থাকাটা বাধ্যতামূলক। মানে এসব বিষয়ে থোরাই কেয়ার করেন তিনি৷
পার্টিতে জর্জরিত ক্লাবঃ
পিএসজির আরেকটি সমস্যা হলো তাদের খেলোয়াড়দের অনিয়ন্ত্রিত পার্টি করা। লা'কুপে জানিয়েছে কয়েকদিন আগে দুইজন খেলোয়াড় সারারাত পার্টি করে ক্লাবে আসেন অনুশীলন করতে। কিন্তু তারা ছিলেন ক্লান্ত।
আরেকটি ঘটনা সকলকে বেশ ক্ষেপিয়ে দিয়েছে। সেটি করেছেন লিওনেল মেসি। তিনি সপ্তম ব্যালন ডি'অর জেতার পর পার্টির আয়োজন করেন৷ সেখানে তার সতীর্থরা অনেকে যোগদান করেন৷ জানা যায় পার্টি করতে করতে এতোই ক্লান্ত হয়ে যান মেসি যে তিনি ও লিওনার্দো পারেদেস পরের দিন অনুশীলনই করতে পারেননি। ওই ঘটনার পর কয়েকজন কোচের কাছ থেকে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন।
ওয়ান্দা নারা-ইকার্দির ঝামেলাঃ
গত নভেম্বরে মাউরো ইকার্দির সঙ্গে তার স্ত্রী ওয়ান্দা নারার সম্পর্ক প্রায় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। অন্য নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে ইকার্দিকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন নারা। আর নিজের সম্পর্ক বাঁচাতে ইকার্দি ক্লাবের কাছে তিন দিনের ছু্টি চেয়েছিলেন। তাকে তা মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু ইকার্দিকে তিনদিন ছুটি দেয়ায় অন্য কয়েকজন খেলোয়াড় ভীষণ ক্ষেপে যান। সূত্রঃ মার্কা।