Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিনিকেট-নাজিরশাইল নামে ধান নেই

সাংবাদিকদের খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সাদা চকচকে চালে কোনো পুষ্টি নেই। আপনারা লাল চাল খান। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, লাল চালের উপকারিতা নিয়ে আপনারা লিখুন। মানুষকে জানান। একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড আয়োজন উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ সরু ও মাঝারি চাল খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এক রিকশাওয়ালা বললো আমাকে বললো স্যার সারাদিন রিকশা চালাই। ৭০০-৮০০ টাকা কামাই করি। আমি মোটা চাল খাবো কেন। সরু চালের ভাত খাই। এই যে সরু চালের ওপর প্রভাবটা। সরু চাল কিন্তু আমনের সময় উৎপাদন হয় না, এটা আপনাদের বুঝতে হবে। সরু চাল উৎপাদন হয় বোরো সিজনে। বোরো সিজনে প্রায় ৮০ শতাংশের মতো সরু ও মাঝারি চাল উৎপাদন হয়।
তিনি বলেন, অনেকে বলেন চাল কেটে ছোট করা হয় এটা ঠিক না। আপনাকে মিলে যেতে হবে, পর্যবেক্ষণ করতে হবে। চালকে কাটতে কাটতে কিন্তু ছোট করে না। ছোট করলে তার ওয়েট লস হবে, ওয়েট লস হলে তার পোষাবে না। তারা পলিশ করে, পলিশে ওজন কমে না। মোটা চাল কেটে মিনিকেট বানায় এটা কিন্তু ঠিক না। আমাদের সবার একটা ভুল ধারণা যে চাল কেটে ছোট করে। ঘটনা কিন্তু তা নয়।
চাল কেটে বা ছেঁটে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল নামে বিক্রি করছে যারা, তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট এক সাংবাদিকের প্রশেড়বর জবাবে মন্ত্রী বলেন, অরিজিনালি মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই। সরু মিনিকেটের ক্ষেত্রে জিরাশাইল, শম্পাকাটারি এই দুই রকমের ধানটাই বেশি। এমনকি নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শাকসবজির দাম বেশি, চালের দাম বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণটা কী? উৎপাদিত ফসল যখন বাজারে আনা হয়, সবজির কথাই বলছি, সবজির মোকামে আপনি যান সবজি আপনি যে দামে কিনবেন, ঢাকা আসতে যদি দাম চারগুণ বেশি হয়, আমাদের কিন্তু কোনো সিস্টেম কিংবা মনিটরিংও নেই। আমাদের কোনো নীতিমালা বা রেটও নেই। লালশাক, কপি এই দামে বিμি করতে হবে, এমন কিছু নেই।
সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে একটা রিসার্চ ওয়ার্ক করেছি। এটা সত্যি বাজারে মিনিকেট নামে চাল বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু মিনিকেট নামে ধান নেই বললেই চলে। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এক সময় মিনিকেটে করে বিদেশ থেকে ধান আসছিল, তখন সেই কিটের নাম অনুসারে গ্রামের মানুষ নাম দিয়েছে মিনিকেট। এখন ব্রি-২৮ ও ২৯ ধান ও মোটা ধানকে মিনিকেট বলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা ছাঁটাই নীতিমালা করছি। ওই রিসার্চের ফলাফলকেও বিভিনড়ব পর্যায়ে পাঠিয়েছি। ধান যেটাই হোক নাম দিচ্ছে মিনিকেট, এটা তাদের ব্র্যান্ড নেম। আমরা এখন চেষ্টা করব, ব্র্যান্ডিংটা আপনি যে নামেই করুন, মূল ধানের সোর্স (জাত) সেটা লিখতে হবে। সেই কাজটি আমরা করছি।
সচিব বলেন, ধানের ৮ শতাংশ পর্যন্ত আপনি ছাঁটাই করতে পারবেন। কিন্তু অনেক জায়গায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাঁটাই করা হচ্ছে, এটা কৃষি মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য। আমরা সেজন্য ছাঁটাই নীতিমালা করছি। একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, তারা কাজ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিনিকেট-নাজিরশাইল ধান নেই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ