মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার (১৯ ডিসেম্বর)। এতে বেইজিং ঘোষিত ‘দেশপ্রেমিক’ প্রার্থীরাই বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। যদিও ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের হাত থেকে চীন হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পর স্বায়ত্তশাসিত এ নগরে কাউন্সিল নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে গতকাল।
স্থানীয় সংবাদপত্র এইচকে ০১-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯০টি আসনের মধ্যে ৮২ টিতেই জিতেছে বিদ্যমান ব্যবস্থার সমর্থক এবং বেইজিংপন্থীরা। মাত্র একজন প্রার্থী ছিলেন এই বলয়ের বাইরে। আর বাকিদের রাজনৈতিক পরিচয় অজ্ঞাত।
বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করার সব আয়োজনের পর প্রথমবারের মতো হংকংয়ের লেজিসলেটিভ কাউন্সিল নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
গত মার্চে হংকংয়ের সংশোধিত নির্বাচন-সংক্রান্ত বিধিবিধানে বলা হয়, শুধু ‘দেশপ্রেমিক’ ব্যক্তিরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি হলো-জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত আইন প্রণেতার অনুপাত কমিয়ে আনা হয়েছে। আগে ৫০ শতাংশ প্রতিনিধি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতেন। সেটি এখন কমিয়ে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এর সপক্ষে যুক্তি হিসেবে কর্মকর্তারা বলছেন, এই মুহূর্তে হংকংয়ে স্থিতিশীলতাকেই তাঁরা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এতে হংকংয়ের গণতন্ত্রকে আরও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।
হংকংয়ে ২০২১ সালের নির্বাচনে এতো কম সংখ্যক ভোট পড়ার পেছনে নানাবিধ কারণ দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দেখা গেছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনেও ভোট পড়েছিল ৫৮ শতাংশ। নির্বাচনে অর্ধেকেরও বেশি আসনে জয়লাভ করে গণতন্ত্রপন্থী অধিকারকর্মীরা। কিন্তু এবার রেকর্ড পরিমাণে ভোট কম পড়েছে। হংকং চীনের অধীনস্থ হওয়ার পর সবচেয়ে কম ভোট পড়ার রেকর্ড হলো এবার।
২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে বেইজিং হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে। চীনের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন’র অভিযোগ তুলে হংকংয়ের জনগণের তখন আন্দোলন আরও জোরদার করে। অঞ্চলটিতে নতুন করে দমনপীড়ন শুরুর পর স্বাধীনতাকামীদের অনেকেই এখন কারাগারে রয়েছেন।
এমন গণতন্ত্রকামীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারেন, সে কারণে সরাসরি ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে আগেই। নিজেকে ‘দেশপ্রেমিক’ প্রমাণ করে ভোটে অংশ নিতে বলা হয়েছে। ফলে নির্বাচন নিয়ে হংকংবাসীর মধ্যে আগ্রহ অনেকটাই কমে যায় এরপর থেকে।
তবে রোববারের নির্বাচন প্রসঙ্গে চীন সরকার বলছে, হংকংয়ে আইনকানুন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং গণতন্ত্র সঠিক পথেই রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।