বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কোনো এক সময় বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন এখনও অব্যাহত রয়েছে। শেরকান্দি ৫ নং ওয়ার্ডের পৌর পাড়ায় শহর রক্ষা বাঁধে শুকনো মৌসুমে আকস্মিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিটার শহর রক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধের তীরে বসবাসকারী ছিন্নমূল ভূমিহীনদের কয়েকশ বসতবাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার রাতে কোনো এক সময় পৌর এলাকার শহর রক্ষার বাঁধ ধ্বসে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বড় গর্তে পরিণত হয়। বাঁধ প্রায় একশ ফুট ভেঙে নদীগর্ভে চলে যায়। এ সময় বাঁধের ব্লকসহ মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়। পৌর পাড়া এলাকার সবুর হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার কোনো এক সময় বাঁধের ভাঙন শুরু হয়। ভাঙন অব্যাহত থাকায় তারা আতঙ্কে রয়েছেন।
এদিকে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন বলছেন- বাঁধটি অনেক পুরাতন। এর আগে কখনো এমন ভাঙন দেখা যায়নি। এবারের ভাঙনের যে তীব্রতা তাতে অতিদ্রুত ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে বর্ষা মৌসুমে শহরে পানি ঢুকে পড়বে। এদিকে, ভাঙনের খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস, এম রফিক বলেন, শুকনো মৌসুমে বাঁধে হঠাৎ ভাঙন আতঙ্কে শুধু এই এলাকা না পুরো শহর আতঙ্কে রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এমনটি আশা করছি। তিনি আরো বলেন, দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধ না করা গেলে কুমারখালী শহর ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, আমি এর আগেও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আবাসন ও নদীর আশপাশের এলাকা ভাঙন বিষয়ে অবহিত করছিলাম। এ ব্যাপারে সরেজমিনে পরিদর্শন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন জানান, বাঁধটি অনেক পুরাতন। কি কারণে বাঁধে ভাঙন দেখা যাচ্ছে বিষয়টি জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।