মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফিলিপাইনে এই বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘রাই’য়ের আঘাতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১২ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ রোববার সরকারী হিসাবে এ কথা বলা হয়। কর্তৃপক্ষ বিধ্বস্ত দ্বীপগুলোতে পানি ও খাদ্য পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
টাইফুনের কারণে দ্বীপ দেশটির সমুদ্র সৈকত এলাকার ৩ লাখের বেশী মানুষ তাদের বাড়িঘর ও রিসোর্ট ছেড়ে পালিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে দেশটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের অনেক এলাকা যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। একটি দ্বীপ প্রদেশে কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত হওয়ার পর মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
বোহোল প্রদেশের গভর্নর আর্থার ইয়াপ এই মৃত্যুর সংখ্যা জানান। যদিও তিনি টাইফুন রাইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধেক পরিমাণ শহরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং সে সব শহরে মৃত্যুর সংখ্যা জানিয়েছেন। বাকি অর্ধেক শহর এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত টাইফুনে মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ১১২ বলে জানা গেছে। ইয়াপ আরো বলেন, আরো ১০ জন নিখোঁজ এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। ৪৮ জন মেয়রের মধ্যে মাত্র ৩৩ জন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে মৃত্যুর সংখ্যা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে।
কর্মকর্তারা ভূমিধস ও ব্যাপক বন্যার কারণে আরো মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন।
একটি ফেসবুকে পোস্টে ইয়াপ লেখেন, ১২ লাখের বেশি লোকের প্রদেশের মেয়রদের তাদের জরুরি পরিষেবার আহ্বান জানানো হয়। পানীয় জলের সঙ্গে অনেক মানুষের খাবার সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানানো হয়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পানির পাম্পগুলো অকেজো হওয়ায় বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলেও লেখেন তিনি। টাইফুনোবিধ্বস্ত শহরগুলোর একটি সমীক্ষায় যোগদানের পর ইয়াপ বলেন, এটি খুব স্পষ্ট যে বোহোলের ক্ষয়ক্ষতি সর্বব্যাপী।
এদিকে সরকার বলছে, টাইফুনে প্রায় সাত লাখ ৮০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে তিন লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনটি ঘণ্টায় ১২১ মাইল বেগে আঘাত হানে। এতে ঝোড়ো বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬৮ মাইল। প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্যে অবস্থিত বিপর্যয়প্রবণ দ্বীপপুঞ্জে আঘাত করার জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটিই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী।
অন্তত ২২৭টি শহর বিদ্যুতবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার মধ্যে মাত্র ২১টি শহরে বিদ্যুৎসংযোগ পুনরাস্থাপিত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, তিনটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে দুটি এখনো বন্ধ রয়েছে। সূত্র : এলবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।