করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে৷ ইতোমধ্যে সপ্তাহের অর্ধেকের বেশি ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেছে খেলোয়াড় বা কোচিং স্টাফের সদস্যরা
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে৷ এ সংখ্যা দিন দিন আরো বাড়ছে৷
এখন মৌসুমের বাকি সময়টা কিভাবে বাঁচানো যায়, এ নিয়ে আগামীকাল আলোচনায় বসতে যাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের সবগুলো ক্লাব। এই আলোচনা থেকে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য লিগের খেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা আসতে পারে। তাছাড়া আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সেটি কলো ভ্যাকসিনবিহীন খেলোয়াড়দের দল থেকে বাদ দেয়া৷ প্রিমিয়ার লিদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৬৮ ভাগ খেলোয়াড় ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তবে সব ক্লাবে তা সমান নয়৷ যেমন লিভারপুল তাদের প্রায় সবাইকে ভ্যাকসিন দিয়ে দিলেও, এমন ক্লাবও আছে যারা মাত্র ৫০ ভাগকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করেছে বা রাজী করতে পেরেছে।
যে ক্লাবগুলো বেশি ভ্যাকসিন দিয়েছে তারা অন্যদের উপর বিষয়টি নিয়ে ক্ষীপ্ত হয়েছে। কারণ এ ভ্যাকসিন না দেয়ার কারণেই আজ লিগ আবার নতুন করে হুমকির মুখে পরে গেছে।
তাছাড়া ভ্যাকসিন বিহীন খেলোয়াড়দের কারণেও ভাইরাস ব্যপক হারে ছড়িয়েছে বলে বিশ্বাস সকলের৷ আর তাই এখন বিষয়টি নিয়ে বেশ কঠোর হতে যাচ্ছে তারা।
ইতালিয়ান সিরি আ, স্প্যানিশ লা লিগা, জার্মান বুন্দেসলিগার ৯০ ভাগের বেশি খেলোয়াড়দের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে সিরি আ ও বুন্দেসলিগা এর পরিমাণ ৯৮ ভাগের বেশি। ফলে তারা লিগ নিয়ে খুব বেশি একটা চিন্তা করছে না।
এদিকে লিভারপুল বস ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেছেন আসছে জানুয়ারীর দল বদলে কোন ভ্যাকসিনবিহীন খেলোয়াড়দের বিষয়ে আগ্রহ দেখাবেন না তারা৷ তার মতে এতে করে ওই খেলোয়াড় দলের অন্যদের বিপদে ফেলে দিবে বা তাদের বিপদের কারণ হবে। এখন ইয়ুর্গেন ক্লপের মতো অন্যরাও যদি একই অবস্থান নেয় তাহলে যারা ভ্যাকসিন না দিতে চায় তাদের টনক নড়বে!