Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চিতলমারীতে গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে হত্যা

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

বাগেরহাটের চিতলমারীতে লতিকা হালদার নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুর ৩ টায় গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় ওই গৃহবধূকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাত সাড়ে ১১ টায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
মৃত লতিকা উপজেলা সন্তোষপুর গ্রামের কানাই লাল মজুমদারের স্ত্রী ও একই উপজেলার চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া গ্রামের যশমন্ত হালদারের বড় মেয়ে। লতিকার বাবার অভিযোগ যৌতুকের জন্য মারপিট করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষ খাইয়ে তার মেয়েকে হত্যা করেছে। লতিকার শ্বশুর বিবেকানন্দ মজুমদার বলেছেন, পরিবারিক কলহের জেরে বিষ খেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। তার ৫ বছর বয়সি একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বাবা যশমন্ত হালদার বলেন, ২০১৪ সালে আমার বড় মেয়ে লতিকাকে সন্তোষপুর গ্রামের বিবেকানন্দ মজুমদারের ছোট ছেলে কানাই লাল মজুমদারের সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে জামাই কানাই লাল এ পর্যন্ত প্রায় চার লাখ টাকা নিয়েছে। কয়েকদিন আগে কানাই মাইক্রোবাস কেনার জন্য আরও চার লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা নিতে লতিকা দুইদিন আগে আমাদের বাড়িতে আসে। তাকে এত টাকা একসঙ্গে দিতে পারিনি। বলেছিলাম জমি বিক্রি করে পরে দিব। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কানাই লালসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারপিট করে বিষ খাইয়ে দেয়। তিনি বলেন, আমি মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
লতিকার শ্বশুর বিবেকানন্দ মজুমদার বলেন, মাছ কাটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হয়। এ নিয়ে লতিকা বিষ পান করে। পরে হাসপাতালে নিলে সে মারা যায়। এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) তদন্ত মো. ইকরাম হোসেন বলেন, অভিযোগ দিলে আমরা আপাতত অভিযোগ নিব। প্রাথমিক তদন্ত চলছে। তবে ময়নাতদন্তের রির্পোট আসার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে হত্যা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ