জাতীয় সংসদে রাজাকারের সন্তানদের প্রতিনিধিত্ব করা রাষ্ট্রের জন্য অমর্যাদাকর ও রাজাকারের সন্তানদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া দুঃখজনক এবং বিব্রতকর বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক। গতকাল শনিবার সকালে বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিষয়টি দলকে অবগত করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে রাজাকারের সন্তানরা যখন নির্বাচিত হয় তখন তাদের প্রতিহত করার সুযোগ থাকে না সরকারের। তাই সাধারণ মানুষকে রাজাকারের সন্তানদের ভোটপ্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেও রাজাকারের তালিকা প্রকাশ না হওয়াা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকার মাত্র ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। আওয়ামী লীগের থেকে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন না করা দলগুলো। এর ফলে দেশের সকল সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান করা ব্যক্তিরা খুঁটি গেড়ে বসে ছিল। তারা রাজাকারের তালিকা তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে রাজাকারের তালিকা তৈরির জন্য সংসদে একটি আইন প্রস্তাব করা আছে। এটি অনুমোদিত হলে রাজাকারের তালিকা তৈরি করা হবে। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আইডেন্টিটি কার্ড প্রদান করা হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে বরগুনা জেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানের শেষ দিন বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে ১২শ’ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান করে জেলা প্রশাসন।